‘ইন্টারনেটের দাম না কমালে অপারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সরকার’

বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব | ছবি: এখন টিভি
0

নানা সময়েই প্রায় ১২ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক সেবা দেয়া মুঠোফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ— দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি। কিন্তু মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বলছে; লাইসেন্স ফি, সেবার ওপর অতিরিক্ত করারোপসহ নানা হিসেব-নিকেশে বাড়ছে ইন্টারনেটের দাম।

এমন প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আইআইজি ফি, এনটিটিএন অপারেটরসহ বিভিন্ন লেয়ারে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে দেখা যায় শুধুমাত্র সামিট, ফাইবার এটহোম, বাহনের মতো এনটিটিএন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সরবরাহের ওপর প্রায় ১৫ শতাংশ দাম কমিয়েছে। তবু তার তেমন প্রভাব নেই ভোক্তা পর্যায়ে।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৫ মে) বিটিআরসিতে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। তাই, ইন্টারনেটের দাম না কমালে তাদের বকেয়া পাওনাসহ অন্যান্য সুবিধা প্রত্যাহার নিয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।’

আগামী ১ জুলাই থেকে আইএসপি এবং আইআইজি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আর তাতে ব্রডব্যান্ডে গ্রাহকদের খরচ কমার আশা তার।

এদিকে লাইসেন্স ও পরিষেবা খরচের কারণে ইন্টারনেটের দাম বেশি দাবি করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী। তিনি জানান, ভোক্তার নাগালের মধ্যে আনতে কাজ করছে সংস্থাটি।

এর আগে, বুধবার বিকেলে প্রায় ৪০ মিনিটের জন্য সারাদেশে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘটনায় এর ব্যাখ্যা চেয়েছে বিটিআরসি।

এনএইচ