ল্যান্ড টেলিফোন এক সময়ের আভিজাত্যের প্রতীক। ৮০ থেকে ৯০ এর দশকে সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি সম্ভ্রান্ত ও সচ্ছল পরিবারগুলোতে ছিল এর ব্যবহার। পাড়া-মহল্লায় কোনো বাড়িতে টেলিফোন থাকলে, সে জায়গা হয়ে উঠতো পুরো এলাকার তথ্য বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু।
কিন্তু ২০০০ সালের পর মোবাইল ফোন এলে ভাটা পড়ে টেলিফোনের জনপ্রিয়তায়। আর এখন হাতে হাতে আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায়, টেলিফোন এখন বিলুপ্তপ্রায় দূরালাপনি যন্ত্র।
২০২৪ সালে কুমিল্লায় টেলিফোনের গ্রাহক কমে দাঁড়ায় সাড়ে পাঁচ হাজারে। এ বছর কমেছে আরও ৫০০। কিন্তু দুই দশক আগেও জেলার ১৭ উপজেলার বিটিসিএলের গ্রাহক ছিল প্রায় ১৫ হাজার।
তবে গ্রাহক টানতে সর্বনিম্ন কলরেটের পাশাপাশি কম খরচে হাইস্পিড ইন্টারনেট সংযোগসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু জনবল, অনলাইন বিলিং বা কাস্টমার পোর্টালের ত্রুটিসহ প্রচারের অভাবে হচ্ছে না লক্ষ্য পূরণ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিটিসিএলের লাইনগুলো দেয়ার জন্য যে পোর্ট থাকে, নির্দিষ্ট লোকেশন ছাড়া এগুলোর কোনো সুবিধা নেই।
স্থানীয় একজন বলেন, তারের মূল্য দেয়া, তার ছিঁড়ে যাওয়া, বারবার এগুলো হ্যামারিং করা, নতুন করে সংযোগ দেয়া; এতো ডিস্টার্ব ফিল করে তো কেউ টিএনটি ব্যবহার করতে যাবে না।’
কুমিল্লা বিটিসিএলের ডিজিএম আতাউর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘যেসব এলাকায় ইন্টারনেটের চাহিদা অনেক আছে, সেই এলাকাগুলোতে আমরা কিছু প্রপোজাল ধরেছি। যদি সেগুলো পাশ হয়, তাহলে আমরা ঐ উপজেলাগুলোতে ইন্টারনেটের সংযোগ দিতে পারবো।’
বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জমান বলেন, ‘গ্রাহক আমাদের কাছে অনলাইনে আবেদন করেন, এরপর আমরা পসিবিলিটি রিপোর্ট দিই। এরপর যদি আমাদের ক্যাবল নেটওয়ার্কের মধ্যেই থাকে, আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংযোগ দিয়ে দিই।’
ল্যান্ড টেলিফোন থেকে টেলিফোনে আনলিমিটেড কথা বলতে মাসিক বিল ১৫০ টাকা। আর টেলিফোন থেকে মোবাইলে কথা বলার খরচ প্রতি মিনিটে ৫২ পয়সা।
এ ছাড়া ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা ও ১ হাজার ৬০০ টাকায় ৩০ এমবিপিএস হাইস্পিড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি।