ঘরবন্দি প্রবাসীরা আবারও কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগে শহরের অনেক এলাকায় পানি নেমে গেছে। ছোট-বড় অফিস, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বাগান- সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে ফিরছে কাজের গতি।
প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, ‘আমাদের এখন কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে। কোনো রেস্ট নেই।’
গেল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টির সাক্ষী হন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা। যা সারা বছরের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের দ্বিগুণ। নজিরবিহীন বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া শারজাহ ও আজমান শিল্প এলাকার কিছু জায়গায় এখনও পানিবন্দি অনেকে। ভূমিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।
প্রবাসী আরেকজন বলেন, ‘আজকে তিনদিন যাবৎ আমরা পানির নিচে। আমাদের ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে।’
শহর থেকে দূরে পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোকানপাট, গ্যারেজ ও লেবার ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি প্রতিনিধি দল। প্রবাসীদের সাধ্যমতো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কনসাল জেনারেল। প্রবাসীদের জন্য ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘প্রবাসীদের সহযোগিতা করার জন্য আজকে এখানে আসা। যাদের খাদ্যের প্রয়োজন তাদেরকে সহায়তা দেওয়া হবে।’
এদিকে ঝড়ের পর সৃষ্ট বিমানজট এখনও না কাটায় দুবাই বিমানবন্দরে ফ্লাইটের বিলম্ব অব্যাহত আছে। সংকট নিরসনে শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইটের অবতরণ সীমিত করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর দেশটিতে চলমান পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যেই আবহাওয়া বিভাগের দুঃসংবাদে উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। লঘুচাপের প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার নাগাদ ফের মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির কবলে পড়তে পারে পুরো দেশ।