ইফতারে রেস্তোরাঁয় দেশিয় খাবারের আয়োজনে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা

.
প্রবাস
0

মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার ইফতারে আছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ভিন্নতা আছে খাদ্যাভাসেও। তবে স্থানীয় নানা ধরনের খাবার থাকলেও দেশিয় ইফতারের স্বাদ পেতে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলোতেই ছুটে যান প্রবাসীরা। কর্মব্যস্ত প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসে রেস্তোরাঁগুলো। বিদেশের মাটিতে দেশিয় খাবার পেয়ে খুশি প্রবাসীরাও।

মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬০ শতাংশ মুসলিমের দেশ মালয়েশিয়ার সর্বত্রই রমজানের আবহ। পবিত্র মাহে রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় ইফতারে কী কী খাবার থাকবে, এ নিয়েও থাকে পছন্দ-অপছন্দ । অন্যান্য দেশের মতোই ইফতার নিয়ে মালয়েশিয়ার আছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ভিন্নতা আছে খাদ্যাভ্যাসেও।

ইফতারে স্যুপ, খেজুর, সালাদ, মিষ্টি জাতীয় পিঠা ও সবশেষে ভাত খাওয়াটাকেই বেশি পছন্দ করেন স্থানীয়রা। এসব খাবারের জোগান দিতে দেশটির সর্বত্রই বসে এমন ইফতার বাজার । একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই ঐতিহ্যবাহী পছন্দের সব খাবার কেনার সুযোগ থাকে স্থানীয়দের ।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে মুসলিম অভিবাসীর সংখ্যাও কম নয়, যার একটি বড় অংশই বাংলাদেশি।

দেশিও এসব রেস্টুরেন্টগুলোতে ছোলা, মুড়ি ছাড়াও পরিবেশন করা হয় বেগুনি, পেঁয়াজু, কাবাব সহ নানা ধরনের খাবার। বিদেশের মাটিতে ঐতিহ্যবাহী এসব খাবার পেয়ে খুশি ভোজনরসিক প্রবাসীরাও ।

একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য হলেও খাবারের মধ্যে নিজের দেশকে খুঁজে পাই।’

ইফতার বাজারকে কেন্দ্র করে বিকেল থেকেই জমে ওঠে রেস্তোরাঁগুলো। সুযোগ হয় বাড়তি আয়ের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের শুরুতে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলেও দিনদিন তা বাড়ছে ।

আরেকজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘মুড়ি মাখা ছাড়া আমাদের ইফতার অসম্পূর্ণ রয়ে যায়, সেক্ষেত্রে এখানে এই সুযোগটা তৈরি হয়।’

প্রবাসী বাংলাদেশি একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ছুটির দিনগুলোতে লোকজন একটু বেশি হয়।’

কর্মব্যস্ত স্বজনহীন প্রবাস বিভূইয়ে যারা রান্না করার সুযোগ পান না তারা সেহরির জন্যও খাবার নিয়ে যান বাংলাদেশি এসব রেস্টুরেন্ট থেকে ।

এসএস