তার এই সফরের মধ্য দিয়ে বিশ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের কোন আমির। আর বর্তমান আমিরেরও প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি ও ব্যবসা–বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে। এ সময় অন্তত ১০টি চুক্তি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি যে এই সফরের ফলে এখানে যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আছে তাদের যে অবদান তা আবারও তুলে ধরবো। সেখানে প্রবাসীর সাথে কাতারে অন্যান্য যে ক্ষেত্রগুলো আছে সেখানে অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হতে পারে।'
এদিকে কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের খবরে খুশি কাতারে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা আশা করছেন, এ সফরে জোরদার হবে দু'দেশের সম্পর্ক। এছাড়া নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন হবে বলেও মনে করেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
একজন প্রবাসী বলেন, 'আমরা আশা করবো কাতারের আমিরের এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নতুন ব্যবসায়িক দ্বার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশের সাথে কাতারের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।'
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সেবা চুক্তি, বিমান সেবা চুক্তির সংশোধন, দ্বৈত কর প্রত্যাহার, শুল্ক খাত, উচ্চশিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যৌথ বাণিজ্য পরিষদ ও যৌথ কমিশন গঠন ইত্যাদি চুক্তি ও সমঝোতার আভাস মিলছে। এছাড়া ঢাকার একটি সড়কেরও নামকরণ করা হবে কাতারের আমিরের নামে।