ইরানের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইসরাইলে ইরানের হামলার কয়েক দিন পরই পাল্টা হিসেবে এ হামলার ঘটনা ঘটলো।
ইসরাইলের আজকের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। তবে হামলার আগে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরাইল।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস বলেছে, মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্ফাহানের একটি সেনাঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের এক কর্মকর্তা জানায়, এটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়। ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরেই ‘ইস্ফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ নিরাপত্তাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। আর এর ফলে ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়।’
সংস্থাটি বলছে, ইস্ফাহানের অবস্থা এখন স্বাভাবিক। আর স্থলভাগে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সিরিয়ায় তেহরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলার পর গত সপ্তাহান্তে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরাইলে হামলা চালায় এবং প্রতিশোধমূলক সেই হামলায় শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, ইসরাইলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে আর কোনও সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে।