তিনি বলেন,'আমরা বারবার সতর্ক করেছি, একটি স্থায়ী ও টেকসই যুদ্ধবিরতি ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে মানবিক প্রচেষ্টা ধ্বংস হয়ে গেছে। অবশ্যই এ যুদ্ধবিরতি সামরিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সহকর্মী, মানবিক কর্মীরা সেনাবাহিনীর হামলার মুখে সম্পূর্ণ অরক্ষিত। কোনো স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'ফিলিস্তিনি ভূ-খন্ড যুদ্ধ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৭২৮ এর দাবির বিপরীতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করে তীব্র রুপ ধারণ করেছে।'
ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, 'এ পরিস্থিতিতে গাজার জনসংখ্যার জন্য মানবিক সাহায্য বিতরণ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ সংস্থাগুলো একমত যে, ছিটমহলে মানবিক সরবরাহ কার্যত অস্তিত্বহীন। ওসিএইচএ-এর মতে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী মানবিক সহায়তার অর্ধেক সরবরাহ যান অবরুদ্ধ করে রেখেছে। একই সময়ে মানবিক কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সীমান্তে মানবিক সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে এবং সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্য যথেষ্ট আর্থিক সংস্থান রয়েছে। শুধুমাত্র চেকপয়েন্টগুলো খুলে দেয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।'
নেবেনজিয়া নিশ্চিত যে, জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) এর কার্যক্রম এ পরিস্থিতিতে অপরিহার্য।
তিনি বলেন, 'আমরা এজেন্সির কর্মীদের বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানাই। যারা অমানবিক পরিস্থিতিতে তাদের জীবন দিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালন করেন। আজ পর্যন্ত ১৭৮ জন কর্মী সদস্য তাদের জীবন হারিয়েছেন। একক মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।'
রাশিয়ান কূটনীতিক বলেন, 'সেই পটভূমিতে ইউএনআরডব্লিউএ-কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা এবং এজেন্সিটি ভেঙে দেওয়ার আহ্বান যা আমরা এই চেম্বারেও শুনেছি, স্পষ্টতই অগ্রহণযোগ্য। ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নির্বিচার অভিযোগগুলো এই বৃহৎ এবং অত্যাবশ্যক জাতিসংঘের সত্ত্বাকে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।'
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন ফিলিস্তিন ছিটমহলে নিহত মানবিক কর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করে। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত বছরের ৭ অক্টোবর, ২০২৩ এ সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ২২৪ মানবিক কর্মী নিহত হয়েছে।