শুক্রবার মধ্যরাত। গাজা সীমান্তের কাছে দুইবার আলোর ঝলকানি। যদিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটি কোনো হামলার দৃশ্য কী না।
ট্রাম্পের উদ্যোগে কাতার, তুরস্ক ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ৪ দিন আগে। কিন্তু এরইমধ্যে বিচ্ছিন্ন হামলা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
শুক্রবার প্রথমে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যার অভিযোগ তোলে হামাস। পরে গাজার সিভিল ডিফেন্স জানায়, গাজার মূল শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি গাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলি চলায় ইসরাইলি সেনারা। এতে প্রাণ যায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনির। আইডিএফ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য না করলেও হামাসের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির শর্ত মানছে না ইসরাইল।
আরও পড়ুন:
তারপরেও ট্রাম্প প্রস্তাবিত শান্তি প্রস্তাবের দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরে মধ্যস্থতাকারীদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সীমান্ত খুলে দেয়া, ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধি, উপত্যকার সংস্কার কাজ শুরু করা, একটি প্রশাসনিক কাঠামো নির্মাণ ও ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি তাদের। তবে, রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, গাজার নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় সংস্থাটি। কোনোভাবেই অস্ত্র জমা দেয়ার শর্ত মানবে না হামাস।
এদিকে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা থেকে পুনরুদ্ধার করা এক ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের মাধ্যমে আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। এরইমধ্যে তার পরিচয় সনাক্ত করেছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতি'র শর্ত অনুযায়ী, মৃত ২৮ ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছিল হামাস। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ পাঠানো হলেও, বাকি আছে আরও ১৮ জনের মরদেহ। ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকা থেকে মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সংগঠনটি। ভারি সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার অভিযান চালানো কঠিন হচ্ছে বলে দাবি করছে তারা।
এমন প্রেক্ষাপটে গাজার যুদ্ধবিরতি যেন ভেস্তে না যায়, তা নিশ্চিত করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ।
এদিকে গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও অস্থায়ী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ত্রাণ সরঞ্জাম সরবরাহ বাড়াতে আন্তর্জাতিক মহল ও মানবাধিকার সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জাতিসংঘ। যে সব করিডোর দিয়ে ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে, সেগুলো বাদের আরও কয়েকটি করিডোর খোলার আহ্বান জানাচ্ছে তারা। পাশাপাশি গাজার ১০ লাখ নারী ও কন্যা শিশুকে অপুষ্টিজনিত রোগ থেকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জের বিষয়েও বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি। অভিযোগ আছে, ত্রাণের ট্রাক প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইলের কিছু কট্টরপন্থী সংগঠন।





