মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে এথেন্সের ক্যালিথিয়ায় স্টাভরোস নিয়াকো ফাউন্ডেশন কালচারাল সেন্টারে সম্মেলনের পাশাপাশি এ বৈঠকে ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন, কৃষিখাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নৌপরিবহন, জনশক্তি রপ্তানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিকল্প শক্তি উৎপাদন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেন তারা।
গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রীদ্বয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গ্রিকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে বলেন, 'ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলা গ্রিস সরকারের অগ্রাধিকারের অন্তর্ভুক্ত এবং ঢাকা সফর এই দূতাবাস উদ্বোধনের একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।'
ড. হাছান মাহমুদ গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানসম্পন্ন বাংলাদেশী পণ্য আমদানি সহজতর করা ও এ বিষয়ে গ্রিক ব্যবসায়ীদের উৎসাহদানের আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় অভিবাসন ও চলাচল বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রিসে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির বসবাসে বৈধতা প্রদানের জন্য গ্রিক সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সমঝোতা স্মারকের দ্বিতীয় অংশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করেন ও উপযুক্ত কৌশল খোঁজার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
বাংলাদেশী পেশাজীবীদের পরিশ্রমী ও আইন মেনে চলা প্রকৃতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'গ্রিস আগামী দিনে তার কৃষি, পর্যটন, আতিথেয়তা ও নির্মাণ খাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে।'
নৌপরিবহন খাতে দুই দেশের মধ্যে অর্থপূর্ণ সহযোগিতাকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে অভিহিত করে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রণয়নেও একমত হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রণালয়ের সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম ও এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ দিন দুপুরে স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পরিবেশগত পরিবর্তন ও জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জ বিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া হেসুস মন্টেরোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্ব ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
বৈঠকে দুই মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা, সবুজ শক্তি, পরিবেশগত সমস্যা ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সম্মত হন।