ঈদের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে বিপুল পর্যটক বরণের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজারের হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস। সংস্কার, ধোঁয়ামোছা শেষে নতুন সাজে সেজেছে হোটেল-রেস্তোঁরাগুলো। ঈদ পরবর্তী ৭ দিনে প্রতিদিন এক লাখের কাছাকাছি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন বলে আশা এখানকার হোটেল মালিকদের। এতে সামগ্রিক পর্যটন খাতে বাণিজ্য হবে কয়েকশো কোটি টাকার।
এরইমধ্যে তারকামানের হোটেলগুলোতে প্রায় শতভাগ কক্ষ এবং মাঝারি মানের হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউসগুলোতে ৬০-৭০ শতাংশ কক্ষের বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে ১২ তারিখ থেকে শেষ ৭ দিনের জন্য প্রায় ৯৫ শতাংশ রুম বুকিং কমফার্ম হয়ে গেছে। পর্যটকদের বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি।
ভ্রমণরত পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সৈকতজুড়ে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন নজরদারি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, 'কক্সবাজার ডিজিটাল নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। ট্যুরিস্টদের যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।'
রূপ বৈচিত্র্যের ভান্ডার কুয়াকাটা সৈকতে সমুদ্রস্নান, লাল কাকড়ার চরসহ ঝাউবন, নারেকল বাগান, ঐতিহাসিক কুয়া, রাখাইন মন্দির পরিদর্শনে তৃপ্ত হয় পর্যটকের মন। এবারের ঈদেও তাই বিপুল পরিমাণে পর্যটকদের উপস্থিতির আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন শতকোটি টাকা বাণিজ্যের প্রত্যাশা তাদের।
এরইমধ্যে কুয়াকাটার তিন শতাধিক হোটেল মোটেলের ৫০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটক আকৃষ্ট করতে সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে অনেকে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কুয়াকাটায় গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, অতিরিক্ত টহল পুলিশ এবং স্কাউট সদস্য মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলো সেজেছে নতুন সাজে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে অনেকে দিচ্ছেন মূল্যছাড়সহ নানা অফার। আয়োজন করা হয়েছে নানা ইভেন্টের। সাজানো হয়েছে চান্দের গাড়ির মতো স্থানীয় পরিবহন। বড় বড় হোটেলগুলো ইতোমধ্যে ৫০ থেকে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফের মহা ব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, 'বেশ ভালো বুকিং হয়ে গেছে। এবার আশা করছি বেশ ভালো ব্যবসা হবে।'
রাঙামাটিতে পর্যটনকেন্দ্রিক হোটেল-মোটেলে জমজমাট ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যেই রাঙামাটি শহরের হোটেল রিসোর্টগুলোর ৮০-৯০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। প্রায় শতভাগ বুকিং হয়েছে সাজেক ও কাপ্তাইয়েও। সব মিলিয়ে ঈদের ছুটিতে রাঙামাটির তিনটি পর্যটনকেন্দ্রে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।