বাহাদুর, রাজা ও পঙ্খিরাজসহ আরও নানান নামের ঘোড়া নিয়ে বিক্রেতারা এসেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের গোপীনাথ মন্দির চত্বরে। বিশাল এলাকাজুড়ে রাখা হয়েছে ঘোড়াসহ মহিষ আর গরু।
একজন ক্রেতা বলেন, 'প্রতিবছরই গোপিনাথপুর মেলাতে আসি। এখান থেকে ২ থেকে ৪ জোড়া করে মহিষ কিনে নিয়ে যাই।'
অপর একজন ক্রেতা বলেন, 'এ মেলা থেকে মহিষ কিনি প্রতিবছর। এবার আমার সাথে নাতিকে নিয়ে এসেছি। গোপিনাথপুরের এই ঐতিহাসিক মেলা ঘুরাতে নিয়ে এসেছি।'
এবার মেলায় গরু, মহিষ, ঘোড়ার সংখ্যা বেশি, বেচাকেনাও ভাল। তবে পশুর দাম তুলনামূলক কম উঠছে বলে জানান বিক্রেতারা।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এ মেলায় ঘোড়া বেচার উদ্দেশ্যে আসছি। দুইটা ঘোড়া নিয়ে এসে বিক্রি করেছি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায়।'
এ মেলায় কাঠের আসবাব থেকে শুরু করে রয়েছে সংসারের ব্যবহার্য নানা পণ্যের সমাহার। এছাড়াও রয়েছে শিশুদের খেলনা, মিষ্টান্নসহ নানা রাইডের ব্যবস্থা।
দোল পূর্ণিমা ঘিরে এ মেলার গোড়াপত্তন হয়। প্রায় ৫৩০ বছর ধরে গোপীনাথ মন্দির এলাকায় আয়োজিত হয় এ মেলা। যার ঐতিহ্য ও জৌলুস কিছু ম্লান হলেও কমতি নেই আনন্দ বিনোদনে।
গোপীনাথ মন্দিরের সেবায়েত রনেন্দ্র কৃঞ্চ প্রিয়া বলেন, 'নবাব আলাউদ্দিন হোৱসেন শাহ এর আমলে প্রথম শুরু হয়। তখন থেকেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার আগে এ মেলাতে উট, দুম্বা ও বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুও বিক্রি হতো। এখন আর সেগুলো হয় না। এখন শুধু গরু, মহিষ, ঘোড়া হচ্ছে এ মেলার মেইন আকর্ষণ।'
১৫ দিনের মেলা হলেও কাঠের আসবাবের স্টলগুলোতে বিক্রি চলে মাসখানেক ধরে।