গ্রামীণ-মেলা
দুই মাসের মেলায় সমৃদ্ধ নাটোরের অর্থনীতি
চৈত্র সংক্রান্তির শুরু থেকে জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত চলনবিল অঞ্চলে চলে গ্রামীণ মেলা। নতুন ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি মেলা ঘিরে আশপাশের গ্রামে চলে উৎসবের আমেজ। স্থানীয়রা জানান, এই দুই মাসে দুই ডজনেরও বেশি মেলায় লেনদেন হয় অন্তত ২০ কোটি টাকা। যাতে সমৃদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি।
হালখাতার শূন্যতায় লোকায়ত শিল্প, গ্রামীণ মেলার যৌথ পরিবার
বছরজুড়ে 'আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে' তাই ফুলে ফলে জলের সম্পদের ভান্ডার পূর্ণ রাখার এক প্রার্থনায় একক সামিল হন এক মিছিলে, এক বটের নিচে, এক পরিচয়ে, 'বাঙালি'। কিন্তু দুঃখজনকভাবে গ্রামে কমেছে মেলা, উপলব্ধীহীন চর্চায় গন্তব্যহীন পড়ছে যৌথ পরিবারের হালখাতার অংশীজনেরা। তাঁতি, বেত, শীতলপাটি, হাতপাখা, কামার, কুমার, পটশিল্পী আর খেলাধুলার সাথে জড়িয়ে থাকা গ্রামের সম্মিলন আর অর্থনীতি স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে মিঠে নকুলদানার মতো।
জয়পুরহাটে গরু-মহিষ-ঘোড়ার মেলা
দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাটের গোপিনাথপুরে বসেছে গরু, মহিষ আর ঘোড়ার মেলা। বাহারি ঘোড়া, সেই সাথে মহিষ ও গরুর বেচাকেনা চলে এ মেলায়। পনেরো দিনের গ্রামীণ মেলায় প্রথম পাঁচদিন চলে গরু, মহিষ আর ঘোড়ার এই বেচাকেনা। পরের দশদিন চলে গ্রামীণ মেলা। মেলার প্রথম পর্বেই বেচাকেনা হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা।