এর আগে একই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এদিন সকালে মহিদুল খান ও আরিফুল নামের আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
মহিদুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ, নার্গিসের ৯০ শতাংশ এবং আরিফুলের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানা গেছে। তারা সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালে ভর্তি ২৩ জনের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগ মুহূর্তে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার পর মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, গ্যাস বের হতে থাকা গরম সিলিন্ডার ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে বাইরে রেখে যান পরিবারের কোন এক সদস্য। স্থানীয়দের অনেকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কী হচ্ছে সেটা দেখার জন্য। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
সে সময় পাশের অন্য একটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপস্থিত সবাই দগ্ধ হন।