দেশে এখন
বাজার
0

রোজা উপলক্ষে সুলভে ডিম-দুধ-মাংস বিক্রি শুরু

রমজানের আর দু-একদিন বাকি। এরইমধ্যে ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে কম দামে গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডিম, দুধ, মুরগি বিক্রি শুরু করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সারা মাসজুড়ে রাজধানীর ৩০টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে এ সুবিধা নিতে পারবেন ক্রেতারা।

ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১০ মার্চ) সকালে ফার্মগেটে গরু, খাসির মাংস, ডিম, দুধ নিয়ে হাজির হয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের গাড়ি। কেনার অপেক্ষায় ক্রেতারা বলেন, 'মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জন্য অনেক উপকার হবে। কারণ বাজারে জিনিসের যে দাম!'

রমজান আসায় বাজারে যে ঊর্ধ্বগতি, তার লাগাম টানতে সরকারের পক্ষ থেকে সুলভে পণ্য দেবার এ ব্যবস্থা। রাজধানীর ২৫টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ও ৫টি পয়েন্টে স্থায়ীভাবে রমজানের সারা মাস পণ্য বিক্রি করবে তারা। যেখানে গরুর মাংস পাওয়া যাবে ৬০০ টাকায়, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, প্রস্তুত ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা, ডিমের ডজন ১১০ টাকা আর দুধের লিটার ৮০ টাকা।

এক ক্রেতা এখন টিভিকে বলেন, 'বাজারে গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি আর এখান থেকে কিনলাম ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা কম মানে অনেক সাশ্রয়।'

একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১ কেজি গরুর মাংস কিনতে পারছেন। ডিম, দুধ, মুরগি ২ কেজিও দেয়া হচ্ছে। মাছ, মাংস ও ডিমের মতো পণ্য সুলভে বিক্রি করায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছে সরকার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, 'নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে ঠিক করা হয়েছে, এর প্রতিক্রিয়া কী হবে আমি জানি না। তবে নিশ্চয়ই এর প্রভাব পড়বে। কোন মানুষ ভাত-মাছের অভাবে কষ্ট পাবে না। আমরা সেই কষ্ট হতে দেবো না।'

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, 'যে জায়গায় লোক বেশি থাকে, সেখানে পণ্য বেশি দেয়া থাকে। আবার যেখানে কম লোক থাকবে সেখানে জিনিস একটু কম দেই। তাতে নির্ধারিত সময়ে পণ্যটা বিক্রি হয়। শুধুমাত্র গরুর মাংসের ক্ষেত্রে ১ কেজি দিচ্ছি। অন্যগুলো মোটামুটি চাহিদা অনুযায়ী দিবো।'

তবে প্রথমদিন খাসির মাংস দেয়া হয়নি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে পণ্য থাকার ভিত্তিতে ৩ ঘণ্টা নির্দিষ্ট পয়েন্টে ভ্রাম্যমান গাড়ি থাকবে।

এদিকে রমজান উপলক্ষে রোববার থেকেই বাজার মনিটরিং শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও আগামী রমজানে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে দাম বেঁধে দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, 'বাজারে পর্যবেক্ষণ আমরা আরও বাড়াবো। যাতে কেউ ১৬৩ টাকা বোতলজাত তেল এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকার বাইরে বিক্রি করতে না পারে। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিব। আমাদের আমদানি ও উৎপাদন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। এখন পর্যন্ত রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের কোন ঘাটতি নেই।'