সেই সাথে, বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে ভিসা ব্যবস্থা সহজতর করা ও বিমান ভাড়ায় বিশেষ সুবিধা প্রদান, পর্যটন শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ছাড়, এবং সরকারি রিক্যুইজিশন নামে পর্যটন ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) বিকেলে এফবিসিসিআই’র ট্যুর, ট্রাভেল এবং হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, পর্যটন অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। আমাদের জিডিপিতে এই খাতের অবদান মাত্র ৩.৩ শতাংশ। এটিকে অন্তত ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। পর্যটন খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় কমিউনিটি ট্যুরিজম, ইকো ট্যুরিজম, রেলিজিয়াস ট্যুরিজমসহ পর্যটন খাতের জন্য নতুন নতুন পণ্য উন্নয়নের আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। খাতের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা আহ্বান করেন তিনি। সকল অংশীজনদের প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করে পর্যটনবান্ধব নীতিমালা উন্নয়নে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি।
পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত সকল অংশীজনের মতামত প্রতিফলিত হয় এমন একটি সুস্পষ্ট সুপারিশমালা প্রস্তুত করে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী।
পর্যটন খাতে বিদ্যমান ছোট ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন এফবিসিসিআই’র আরেক সহ-সভাপতি মোঃ মুনির হোসেন।
বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট ভিসা প্রাপ্তির জটিলতা দ্রুত হ্রাসের আহ্বান জানান টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে পর্যটন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ব্লগারদের দেশে এনে বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দেখানো ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন হাই-কমিশনে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কাজে লাগানোর পরামর্শ তার। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে বিটুবি সেশন আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।'
এ সময়, বিদেশি পর্যটকদের রিসিভ করার প্রয়োজনে ইন-বাউন্ড ট্যুর অপারেটরদের আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টগুলোতে প্রবেশের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের আহ্বান জানানো হয়।