রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান বিকাল পর্যন্ত চলে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনসহ এখন পযর্ন্ত ৬টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অভিযানের তৃতীয় দিনে খালের সীমানায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন ভাঙার কাজ চলার পাশাপাশি একটি একতলা টিনশেড বাড়ি ও আরো একটি দোতলা নির্মাণাধীন ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ফ্লোটিং স্কেভেটর দিয়ে খালের ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে। ময়লার স্তুপে পরিণত হওয়া খালে আবার পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খাল উদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছি। খালের সীমানায় কোন স্থাপনা থাকবে না। খাল দখলমুক্ত করতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে আমি কাউকে আর বৈধ নোটিশ দেবো না। ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলো আগের রূপে ফেরানো হবে। অভিযান শুরু করেছি, এই অভিযান চলমান থাকবে।’
অভিযানে অন্যদের সঙ্গে আরও ডিএনসিসি'র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম এবং ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এর আগে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার কার্যক্রমে অংশ নেন।