এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃতদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়া হয়।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়া ফেরত অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে না যায়,সে বিষয়ে বাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা একসাথে নিরলসভাবে কাজ করছে।