ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

৫ ক্যাটাগরিতে বেতন পাবেন ক্রিকেটাররা

সাকিব আল হাসানের বেতন কমেছে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ঘোষিত এক বছরের চুক্তিতে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। যেখানে বেতন কমেছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। আর সর্বোচ্চ বেতন পাবেন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

নতুন প্রকাশিত তালিকায় পাঁচ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেয়া হবে বেতন। যেখানে টেস্টে এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ আর টি-টোয়েন্টিতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। একইভাবে এ ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণ সাড়ে তিন লাখ, তিন লাখ আর ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর বি, সি আর ডি ক্যাটাগরিতেও টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে টাকার পরিমাণ ভিন্ন।

একমাত্র সাকিব আর নাজমুল শান্ত তিন ফরম্যাটের এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে রয়েছে। তিন ফরম্যাটে চুক্তিতে থাকা বাকি তিন ক্রিকেটার লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলাম আছেন ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে।

লাল বলের ক্রিকেটের চুক্তিতে থাকা মুশফিক টেস্ট আর ওয়ানডে দুটোতেই আছেন এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে। এছাড়া মুমিনুল ও তাইজুল ইসলামও আছেন টেস্টের এ-প্লাস গ্রেডে। জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয় সি আর মোহাম্মদ নাঈম ও খালেদ আহমেদ আছেন ডি ক্যাটাগরিতে।

এর বাইরে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটের চুক্তিতে থাকা একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই আছেন এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে। মুস্তাফিজুর রহমান আগের মতো বি গ্রেডে। আর ওয়ানডেতে প্রমোশন পেয়ে তাওহিদ হৃদয় আছেন বি ক্যাটাগরিতে।

তবে এখানে একটা হিসেব আছে, তিন ফরম্যাটে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা পাবে না পুরো অর্থ। যেমন টেস্ট ও ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে এ-প্লাস গ্রেডে থাকা নাজমুল শান্ত নিয়মানুযায়ী প্রথম চুক্তির শতভাগ, দ্বিতীয় চুক্তির ৫০ শতাংশ আর তৃতীয় চুক্তির ৪০ শতাংশ অর্থ পাবেন। এছাড়া তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ায় অতিরিক্ত ৪০ হাজার করে আরও মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ঢুকবে শান্তর অ্যাকাউন্টে। যা মাসিক দাঁড়ায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

এছাড়া সাকিব ৭ লাখ ৯০ হাজার, মুশফিক সাড়ে ৬ লাখ, লিটন ৬ লাখ ৫ হাজার, মিরাজ-শরিফুল সাড়ে ৫ লাখ, তাসকিন ৫ লাখ ৭৫ হাজার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বেতন ৪ লাখ টাকা। আর মুস্তাফিজ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ’ এছাড় তাওহিদ হৃদয়ের প্রতি মাসে পাবে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫শ’ টাকা।

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই এমন ক্রিকেটার সিরিজজুড়ে স্কোয়াডে থাকলে তিনি ওই মাসের ডি ক্যাটাগরির সমপরিমাণ অর্থ পাবেন। তবে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার পুরো সিরিজে না থাকলে অর্থের পরিমাণ হয়ে যাবে অর্ধেক। এর বাইরেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেললে এক লাখ টাকা করে আর্থিক প্রণোদনা পাবেন ক্রিকেটাররা।