দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন হয় ২ হাজার মিলিয়ন আর ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হয়। ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি ঘাটতি থেকে যায়।
সংকটের কারণে গত দশ বছরে কোন আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেয়নি সরকার। এরমাঝে গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ বাড়ায় সরবরাহ সক্ষমতার অর্ধেক গ্যাস যায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। সংকট যখন চতুর্মুখী, তখন নতুন কূপ খনন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় সরকার।
দেশে এখন ৭০টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হয়। আর বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফসিএলের আরও ৪৮টি কূপ খনন চলমান। যেখান থেকে পাওয়া যাবে আরও ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। একইসঙ্গে আগামী তিন বছরে বেশকিছু পুরনো কূপে ওয়ার্কওভার করবে সংস্থাগুলো।
গ্যাস উত্তোলনের বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে পেট্রোবাংলার এক সেমিনারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানান ২০২৬ থেকে ২৮ সাল পর্যন্ত নতুন আরও ১০০ কূপ খনন করতে চান তারা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, 'আমরা অদূর ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহের সক্ষমতা এবং চাহিদার বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করছি।'
বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে জ্বালানি চাহিদা বেশিদিন মেটানো সম্ভব না। এজন্য নিজস্ব সক্ষমতার দিকে নজর দিতে হবে বলে জানান জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম। বলেন, 'আমাদের ৪৮টি কূপের কাজ চলছে। এটা শেষ হওয়ার পর আরও ১০০টা কূপের কাজ আমরা হাতে নেব ২০২৬ সাল থেকে।'
সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ স্বীকার করেন বাপেক্সসহ অন্যান্য সংস্থা'র মধ্যে সামঞ্জস্যতা না থাকায় এতোদিন গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো যায়নি। গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি'র পেছনে অস্বাভাবিক ব্যয় হয়েছে সরকারের।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'জ্বালানি বিভাগের সবাইকে মূল জায়গায় আনতে হবে। আমি গিয়ে তো আর সংস্থা চালাই না। সংস্থা তো আপনাদের হাতেই।'
তবে প্রাকৃতিক গ্যাসের এ সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হলে নতুন করে খনি বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মত জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের।