এশিয়া
বিদেশে এখন
0

কে হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী?

অবশেষে সরকার গঠনের সমঝোতায় এলো নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি। বিলাওয়াল ভুট্টোর বিরোধিতায় নওয়াজ শরীফের পরিবর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তার ভাই শাহবাজ শরীফ।

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ৫ দিন পর মিললো সরকার গঠনের সমীকরণ। অবশেষে নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ জোট গঠন করলো বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট বা এমকিউএম।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ইসলামাবাদে ২ দলের সঙ্গে বৈঠকে জোট সরকারের ঘোষণা দেন পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। বলেন, 'আজকে আমরা পাকিস্তানকে সংকট থেকে বের করতে জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

নির্বাচনে কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন, তা নিয়ে ছিল সংশয়। ধারণা করা হচ্ছিলো চতুর্থবারের মতো দেশটির উজিরে আজম হবেন নওয়াজ শরীফ।

তবে এক্ষেত্রে বাধ সাধেন পিপিপির বিলাওয়াল ভুট্টো। জানান তাকে প্রধানমন্ত্রী না করা হলে সরকার গঠনে সমর্থন দেবেন না নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগকে।

তবে জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রীর পদে দলের কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজের বদলে ভাই শাহবাজ শরীফকে প্রার্থী ঘোষণা করেন নওয়াজ শরীফ। ফলে আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসছেন শাহবাজ। প্রেসিডেন্ট পদে দেখা যাবে পিপিপির নেতা আসিফ আলী জারদারিকে। অন্যদিকে পাঞ্জাবের প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হবেন নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ।

শাহবাজ শরীফ বলেন, 'দল ও নওয়াজ শরীফের পরামর্শে আমি ঘোষণা করছি, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মরিয়ম নওয়াজ শরীফ।'

এদিকে মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টি সরকার গঠন করায় স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলের ভূমিকা দেখা যাবে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র সদস্যদের। তবে ফল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যেই স্বতন্ত্রদের বেছে নিতে হতো কোন একটি দলকে। সংবিধান মেনেই পিটিআই এর স্বতন্ত্ররা জোট করলেন মজলিস ওয়াহদাত ই মুসলিমিন বা এমডব্লিউএম এর সঙ্গে। এতে করে পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনও ধরে রাখলো ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ।

শুধু কেন্দ্রই নয় এমডব্লিউএম এর সঙ্গে ইমরান খানের পিটিআই জোট গঠন করেছে পাঞ্জাবে। অন্যদিকে সংরক্ষিত আসন ধরে রাখতে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় জামায়াত-ই-ইসলামি বা জেআই এর সঙ্গে হাত মেলালেন ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের আহ্বান করবেন প্রেসিডেন্ট। সে হিসেবে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শাহবাজ শরীফের শাসনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে পাকিস্তানে।