কাতারের আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়ামেই বিশ্বজয়ের স্বাদ নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই মাঠেই এশিয়া জয়ের স্বাদ নিলো সবশেষ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। চেনা মাঠ, পরিচিত দর্শক, দলীয় নৈপুণ্য-সবকিছুতেই জর্ডানের থেকে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।
ফাইনালে জর্ডানের বিপক্ষে করা কাতারের ৩টি গোলই এসেছে স্পট কিক থেকে। করেছেন উইঙ্গার আকরাম আফিফ।
শক্তির বিচারে কাতার এগিয়ে থাকলেও এ ম্যাচে বেশি শট, বল দখলসহ সবকিছুতে দাপট দেখিয়েছে জর্ডান। তবুও নিজেদের ভুলের কারণে স্বাগতিকদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দলটি। এ কারণে, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও জাপানের পর পঞ্চম দল হিসেবে টানা দুই আসরে এশিয়ান কাপ জিতল কাতার।
এদিন খেলা শুরুর প্রথম থেকেই আক্রমণ চালায় স্বাগতিকরা। সেই ধারবাহিকতায় ম্যাচের ২১ মিনিটে জর্ডানের ডিফেন্ডার আবদুল্লাহ নাসিবের ফাউলের শিকার হয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেন আফিফ। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন এই ফরোয়ার্ড খেলোয়াড়। আফিফের গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ্ব শেষ করে স্বাগতিক দলটি।
বিরতির পর ৬৭ মিনিটে জর্ডানকে সমতায় ফেরান ইয়াজান আল নিয়ামত। তবে এর দুই মিনিট পরই আরেকটি পেনাল্টি হজম করে বসে জর্ডান। শেষ মুহূর্তে আবারো পেনাল্টি পেলে নিজের হ্যাট্রিক আদায় করে নেন এই উইঙ্গার। আর কাতার ধরে রাখে টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করে ৫০ লাখ ডলার জিতে নিয়েছে কাতার। অন্যদিকে, রানার আপ জর্ডান ব্যাগে পুড়েছে ৩ মিলিয়ন ডলার। আর সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া দু'দল পেয়েছে ১০ লাখ ডলার করে। এছাড়া এবারের আসরে অংশ নেয়া প্রত্যেক দলকেই দেয়া হয়েছে ২ লাখ ডলার করে।