দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রথম দুই মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন উৎসবের আমেজে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ৪৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোতে উৎসাহ ছিল দেখার মতো।
তবে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে কিছুটা কমেছে প্রবাসী আয়। সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ শ্রমবাজার সৌদি আরব, সংযুক্ত আমিরাত ও কাতার থেকে। ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালেও বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সে অর্থ উত্তোলন কঠিন হয় বলে বৈধ পথে টাকা পাঠানোতে আগ্রহ কমছে বলে অভিযোগ কাতার-প্রবাসীদের।
একজন প্রবাসী বলেন, 'আমরা প্রবাসীরা যেভাবে টাকা পাঠাচ্ছি আমাদের পরিবাররা টাকা সময়মতো পাচ্ছে না। পাঁচদিন সাত দিনও পার হয়ে যাচ্ছে পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছাতে।'
অনেক প্রবাসীর অভিযোগ, সঠিক সময়ে প্রবাসীদের স্বজনদের অর্থ পরিশোধ করছে না ব্যাংকগুলো।
কাতারের অ্যারাবিয়ান এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, 'বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংকে তারল্য সংকট চলছে। মানুষ টাকা পাঠানোর পর ব্যাংক থেকে টাকা দিতে পারছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স হুন্ডিতে পাঠাচ্ছে। কারণ এই টাকা দিয়ে তাদের পরিবারের দৈনন্দিন খরচ এবং মাসের খরচ নির্ভর করতে হয়। কাজেই তারা নিরুপায় হয়ে টাকা হুন্ডিতে পাঠাচ্ছে।'
রাজনৈতিক অচলাবস্থার জেরে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার, যা ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপর ক্ষমতা বদলের পর তিন মাসে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।