সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মুহূর্মুহূ গুলির শব্দ। মর্টারশেল ও রকেট লঞ্চারের শব্দে কেঁপে উঠছে পুরো এলাকা। শঙ্কিত স্থানীয় জনসাধারণ। এরইমধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে এ পর্যন্ত নারীসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৮টি বিদ্যালয়।
এদিকে মিয়ানমারে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে বাঁচতে পালাচ্ছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে সীমান্ত টপকে বেশকিছু সদস্য বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। যাদের মধ্যে আহত অন্তত ১৫ সদস্য। তাদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছে বিজিবি।
সোমবার সকালে বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারে সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিজিবি।
চলমান অস্থিরতায় সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে জেলাপ্রশাসন।
গেল ২২ জানুয়ারি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় শুরু হয় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মির মধ্যে সংঘাত। এতে আবারও নতুন করে সংকটে পড়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু।