বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও দেশের পর্যটন খাতে নেই সমন্বিত পরিকল্পনা। অন্যান্য খাতে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের রোডম্যাপ থাকলেও উপেক্ষিত এই শিল্প। ৪ বছর আগে সরকার পর্যটন মহাপরিকল্পনা করার উদ্যোগ নিলে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি।
মোটাদাগে কক্সবাজার, চট্রগ্রাম আর সিলেটের ২০ থেকে ২৫টি পর্যটন কেন্দ্রই দেশ বিদেশে পরিচিত। অথচ ছোট বড় মিলে দেশে পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে প্রায় দেড় হাজার।
যে কেন্দ্রগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেখানে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। বিনোদনের ব্যবস্থাও অপ্রতুল। তাই সম্ভাবনার পর্যটন খাতও পৌঁছতে পারেনি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে অংশ নেয়া ১১টি দেশের পর্যটন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ, পর্যটন কেন্দ্রগুলোর প্রচারণার পাশাপাশি মনযোগ দিতে হবে বিনিয়োগে। তবেই মিলবে পর্যটক।
ট্যুর অপারেটরদের সংঠন টোয়াবের আয়োজনে এই মেলায় অংশ দেশের উদ্যোক্তারাও কন্ঠ মেলালেন বিদেশিদের সাথে। বললেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়াতে হবে সুযোগ সুবিধা।
মেলার আয়োজকদের দাবি, দেশের অপরিচিত পর্যটন কেন্দ্র গুলোর জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এই মেলা।
টোয়াবের মিডিয়া পরিচালক বলেন, 'প্রচলিত গন্তব্যগুলো মেলার মাধ্যমেই প্রমোট হচ্ছে। মানুষ নতুন পর্যটন এলাকা সম্পর্কে জানতে পারছে। যেমন বলা যায়, ভোলায় অনেকগুলো স্পট আছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোলা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।'
তিনদিনের এই মেলায় ১৫ কোটি টাকা ব্যবসার প্রত্যাশা অংশগ্রহণকারীদের।