লইট্যা, ছুরি, সাগর চিতল, মধু ফ্যাশ্যা, ঢেলা ও রূপচাঁদাসহ ৩৫ ধরনের সামুদ্রিক মাছ থেকে শুঁটকি প্রস্তুত হচ্ছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত উৎপাদন কাজ চলে। এখানে বিষমুক্ত শুঁটকি তৈরি হওয়ায় দেশব্যাপী সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।
শুঁটকি প্রস্তুতকারকরা বলেন, 'আমরা এখানে বিভিন্ন পদের মাছ শুকাই। কোন ধরনের ওষুধের ব্যবহার করা হয় না। তাই কোন ভেজাল নাই।'
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন এই ব্যবসা লাভজনক ও চাহিদা থাকলেও বেশ কিছু সংকট রয়েছে। সুপেয় পানির অভাব, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় সম্প্রসারণের সুযোগ কমেছে।
রোদে শুকানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মামুদ্রিক মাছ
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'এইখানে একটা ব্রিজ হইলে মাছ আনা-নেওয়ার সুবিধা হয়। আমাদের যাতায়াতের খুব কষ্ট হইতেছে। সরকারের কাছে একটা ছোট একটা ব্রিজের আবেদন করি। বোঝা নিয়া পার হইতে খুব কষ্ট হয়।'
মৎস্য বিভাগ বলছে চলতি মৌসুমে এই জেলায় শুঁটকির উৎপাদন হবে ১২ থেকে ১৫ টন। যাতে ৭ থেকে ৮ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
সেইসাথে শুঁটকি পল্লীর সমস্যা সমাধানে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম. আজহারুল ইসলাম। বলেন, 'তাদের কিছু সমস্যা আমাদের দৃষ্টিগত হয়েছে। সুপেয় পানি এবং চলাচলের জন্য ছোট একটা ব্রিজ এবং সোলার লাইটিং। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা দ্রুত এর সমাধানের চেষ্টা করবো।'
গেলো বছর এই জেলায় শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে ১০-১২ টন। যা থেকে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে।