তবে একসময় জলাশয় থাকা এসব জমি বেশিরভাগই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষে। ধান, গম, ভুট্টা, সরিষাসহ আবাদ হচ্ছে নানা ধরনের রবি শস্য। তিন ফসলি এসব জমি নষ্ট করে খাল নির্মাণ চায় না স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন, ‘আমরা ক্ষেতে ফসল ফলাইয়া খাইতাছি। এখন যদি খাল খনন করে তাইলে আমাদের পেটে লাত্তি পড়বো। চাষের জমিডা অহেতুক একটা খাল খনন কইরা আনাবাদী করা উচিত না। এই এলাকার মানুষ নিঃস্ব হইয়া যাইবো, আমরা খাল চাই না।'
খাল খনন করা হলে তিন গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে জানকীপুর, হুজুরীকান্দা ও বন্দটেকী এলাকার কৃষকরা। আর তাই খনন বন্ধে বিভিন্ন সময় তারা মানববন্ধন করেছেন।
এলাকাবাসীরা বলেন, ‘এখানে খাল খনন হইলে শত শত জমি পতিত হয়ে যাবে। আমার ২০ শতাংশ জমি আছে। খাল খনন হইলে আমার আবাদ করার মতো কিছু থাকবে না। এজন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছি এই খাল যাতে না হয়।’
তবে বর্ষা মৌসুমে জমির ফসল রক্ষায় পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনেই খাল খনন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষকদের আপত্তি থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন। তিনি বলেন, ‘এখানে খাল খনন করলে এলাকার লোকজন কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করবো। খাল খননের উপকারিতার বিষয়ে জনসাধারণকে জানানোর চেষ্টা করবো।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমন ধান রোপণ করার সময় বন্যার কারণে চারাগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখানে খাল খনন করে একটা রেগুলেটর করা হবে। যাতে পানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ফসল নষ্ট না হয়।’