পরিবেশ ও জলবায়ু
শিক্ষা
0

সারাদেশে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি, জেলায় জেলায় স্কুল বন্ধ

সারাদেশে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। দেশের অনেক জেলায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে। আর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, বরিশাল ও চুয়াডাঙ্গায় স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামে আজ তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় সকাল ৮টা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস শুরু হলেও পরে সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আগামী রোববার বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

মাঘের হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। আজ সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার প্রাথমিক স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা অফিস।

দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রার পারদ থেমেছে ১১.৫ ডিগ্রিতে। এমন অবস্থায় জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে প্রাথমিকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে আগের নিয়মে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়। আধাঘণ্টা পর বৃষ্টি থেমে যায়। এছাড়া আজও ভোর ৬টা ২০মিনিটের দিকে বৃষ্টি হয়। জেলায় সর্বোচ্চ ১৯ মিলিমিটর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে মাঘের শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে। আবারও তাপমাত্রা কমে আসার পাশাপাশি বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বুধবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়ায় ৮.৭ ডিগ্রিতে। আর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বরিশালেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় ১১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে।

নীলফামারীর ডিমলায় দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র শীতে দুর্ভোগ বাড়লেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।

যশোরে আজ ভোর থেকে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৭ ভাগ। এছাড়া ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বান্দরবানেও জেঁকে বসেছে শীত। পার্বত্য অঞ্চলে শীত বাড়ার পাশপাশি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়াও দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ৪ মিলিমিটার, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১ মিলিমিটার, ভোলায় ১ মিলিমিটার ও রাজশাহীতে ০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেসব জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে।

মাউশি’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণসহ) নেমে যাবে, সেসব জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে। মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওই সব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্ধের এ নির্দেশ দেবেন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।