জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের আলু ক্ষেতগুলো গত কয়েকদিনের মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় ধীরে ধীরে পচতে শুরু করেছে আলু গাছ। পাতা শুকিয়ে ইতোমধ্যেই ধারণ করেছে লালচে আকৃতি।
পচন রোগ ঠেকাতে ঘনঘন কীটনাশক স্প্রে ও নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করছে কৃষকরা। তবুও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তাদের।
কৃষকরা বলেন, শীতের কারণে আলুর গাছগুলো মরে যাচ্ছে। বারবার ওষুধ দেয়ার জন্য বিঘাপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আমাদের যে লাভ হওয়ার কথা ছিল তা হবে না।
উত্তরের জেলা সৈয়দপুরেও রোগবালাই ভর করেছে কৃষি জমিতে। কৃষকদের ভোগাচ্ছে আলু এবং টমেটোর ব্লাইট বা পচন রোগ। দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন তারা।
এক কৃষক বলেন, 'অনেক ওষুধ দেওয়ার পরও পোকা দমন করা যাচ্ছে না, পঁচানিও বন্ধ হচ্ছে না।'
নওগাঁর সবজি ক্ষেতগুলোতেও প্রকট আকার ধারণ করেছে পচানি রোগ। কুয়াশার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। এমন আবহাওয়ায় অব্যাহত থাকলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে জানায় তারা।
এদিকে, বোরো ধান আবাদের সময়ে মেহেরপুরে বাধ সেধেছে শৈত্য প্রবাহ। শীতের কারণে কৃষকরা নামতে পারছে না জমিতে। এতে শ্রমিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
এমন পরিস্থিতিতে, আলু ও অ্যান্যান্য সবজি ক্ষেতে পচন ঠেকাতে নিয়মিত বালাইনাশক স্পে প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি কর্মকর্তারা।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, 'বর্তমানের বৈরি আবহাওয়ার করণীয় বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ চলছে। বিশেষ করে কৃষকরা যেন ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে সে বিষয়ে আমরা তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি নিয়মিত ফসলের মাঠ তদারকি করছে জেলার কৃষি কার্যালয়গুলো। সূর্যের দেখা মিললে পচন রোগ কমে আসবে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।