ইট-পাথরের দেয়ালের ভেতরে থেকেও এই শীতে যখন প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাড় কাঁপানো অবস্থা, তখন গাজায় খোলা আকাশের নিচে লাখ লাখ মানুষ।
গেল ৭ অক্টোবর শুরু হয় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। আর এরপর থেকে গাজায় চলছে লাগাতার ইসরাইলি তাণ্ডব। এতে নিহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
ঘর-বাড়ি হারিয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে উপত্যকাটির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষকে। বাস্তুচ্যুত এই দেড় মিলিয়ন মানুষ ঠাই নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও তাঁবুতে।
এতদিন কোন রকম অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটালেও ছিল না শীতের দাপট। তবে এবার শুধু ইসরাইলিদের সাথে না, লড়াই করতে হচ্ছে ঠাণ্ডার সঙ্গেও।
স্থানীয়রা বলেন, তিন মাস হয়েছে অমানবিক জীবন কাটাচ্ছি। প্রথম ১৫ দিন এখানে খাবার ও পানি কিছুই ছিল না। এমনকি টয়লেটও ছিল না এখানে। কত কষ্টে দিন যাচ্ছে কেবল কেবল আল্লাহ জানেন। ছিন্নমূল হয়ে কোথাও থাকা অবশ্যই অনেক কষ্টের। তবে শীতের মধ্যে ছিন্নমূল থাকা অসহ্য যন্ত্রণার। সারারাত বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়। তখনকার কষ্টের মাত্রা বলে বোঝানো যাবে না।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) গাজায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে জানায় সেখানকার আবহাওয়া বিভাগ। আর এতে ছিন্নমূল গাজাবাসীর কষ্টের সীমা থাকবে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
গাজাবাসীরা বলেন, ৫ তলা বাড়ি ছিলে আমার। এখন বালুর ওপর তাঁবুর নিচে থাকি। বাচ্চারা দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ডায়রিয়া, বমি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়েছে। পর্যাপ্ত শীতের কাপড় নেই আমাদের কাছে।
এদিকে, শততম দিন পার হলেও যুদ্ধবিরতির ডাকে সাড়া দিচ্ছে না হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ।