এছাড়া ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৯৩ জন আমিরাত প্রবাসীকে সিআইপি তালিকাভুক্ত করায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিযোগিতাও শুরু হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, স্বীকৃতি পাওয়ায় দিন দিন বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিযোগিতা বাড়ছে। গত তিন মাসে দেশটি থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহের চিত্র সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। যেখানে দেখা যায়, অক্টোবরে ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হলেও নভেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ডলারে। ডিসেম্বরে তা ছাড়িয়েছে ৪৪ কোটি ডলার। সবমিলিয়ে ২০২৩ সালে দেশটি থেকে বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাাঠানোর পরিমাণ ছিলো ৩৬৭ কোটি ডলারের বেশি।
সিআইপি মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘সিআইপি স্বীকৃতি পাওয়া অনেক মর্যাদার। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই সম্মান পাচ্ছি। আমরা দেশকে অনেক ভালোবাসি বলেই বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাই।’
শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, তাদের দেখে বৈধ উপায়ে দেশে অর্থ পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন সাধারণ কর্মীরা। যে কারণে গত অর্থবছর ২.৭৫ শতাংশ বেড়ে দেশের সার্বিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের ওপর।
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’
সাধারণ প্রবাসীরা যদি বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হন এবং দেশে যথাযথ সম্মান পান তাহলে রেমিট্যান্স প্রবাহে আরও গতি আসবে বলে মনে করছেন সিআইপিরা।
রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখতে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা আরো সহজে কর্মীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন প্রবাসীরা।