মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ওমান উপসাগরে মার্কিন ট্যাংকার জব্দ করলো ইরান

ওমান উপসাগরে মার্কিন তেলের ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় চটেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ইরান ও তাদের সমর্থকদের সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে।

১ লাখ ৪৫ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে ইরাক থেকে রওনা হয় মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ট্যাংকার সেন্ট নিকোলাস। তবে বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারটি জব্দ করে ইরান। হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে।

ট্যাংকারটির পরিচালনাকারী সংস্থা এম্পায়ার নেভিগেশনের তথ্য বলছে, জাহাজটিতে ১৯ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ১৮ জন ফিলিপাইন ও একজন গ্রীসের নাগরিক।

জাহাজের গতিবিধি শনাক্তের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রিটিশ সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, তেলের ট্যাংকারটি ছিনতাইয়ের পর ইরানের বন্দর-ই-জাস্কের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ওই জাহাজের ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ করে দেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফেলছে বিরূপ প্রভাব। ইরান ও তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীর এমন কাণ্ড বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ, এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে

এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত বছর চীনে তেল পাঠানোর চেষ্টা করে ইরান। তখন তাদের একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই প্রতিশোধ নিতেই মার্কিন তেলের ট্যাংকারটি এবার জব্দের দাবি ইরানের সামরিক বাহিনীর।

সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্যসামগ্রী পরিবহন করা হয়। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ইরান সমর্থিত হুতিদের হামলায় লোহিত সাগর ও সুয়েজ খালকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করে জাহাজ কোম্পানিগুলো। এরপর এসব রুটের পরিবর্তে আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের আশপাশের দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল রুটে জাহাজ পরিচালনা করতে বাধ্য হয় কোম্পানিগুলো।