ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে রাশিয়া। এমন অভিযোগ করা হয়েছে কিয়েভের পক্ষ থেকে। এদিকে, শনিবার ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে ইউক্রেনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে রাশিয়া। যুদ্ধ ঘিরে সংকট ঘনীভূত হওয়ার এমন সময় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনকে আর সামরিক সহায়তা দেয়া সম্ভব না ওয়াশিংটনের পক্ষে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের এই পর্যায়ে এসে দুইপক্ষই পড়তে যাচ্ছে সমরাস্ত্র সংকটে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউক্রেন অভিযোগ করলো, দেশটিতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করছে রাশিয়া। এর আগে ওয়াশিংটন অভিযোগ আনে, মস্কোকে পিয়ংইয়ং যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে, সেগুলো দিয়ে কিয়েভে হামলা করা হচ্ছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই ইউক্রেনে আকাশপথে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এদিকে, পাল্টা হামলা করে যাচ্ছে ইউক্রেনও। মোবাইল অ্যান্টি ড্রোন স্কোয়াড দিয়ে শুক্রবার রাশিয়ার ২১ টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভ। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের কোন বিকল্প নেই।
ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে পুরোদমে চলছে রাশিয়ার সেনা অভিযান। ইউক্রেন বলছে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কিয়েভ। তবে রাশিয়া দাবি করছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের ৩৬ টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাঁধাগ্রস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম। ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার জন্য যারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়বে, পরিবারসহ তাদের রুশ নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। এদিকে, ইউক্রেনের সীমান্তসংলগ্ন রুশ শহর বেলগোরোদে আবারও হামলা হয়েছে। বেলগোরোদ থেকে সাধারণ মানুষ সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইউক্রেনকে আর সামরিক সহায়তা দেয়া সম্ভব হবে না দেশটির পক্ষে, কারণ অস্ত্র সহায়তার চুক্তির সময় পার হয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেয়া নিয়ে কোন আলোচনা বা সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবৈধ অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না। যুদ্ধের প্রায় দুই বছর হতে চলায় দুই দেশেই দেখা দিচ্ছে অস্ত্র সংকট। পশ্চিমারা এতোদিন ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিলেও প্রতিবারই কোন না কোনভাবে নিজেদের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলেছে। এমন অবস্থায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই যুদ্ধের ভবিষ্যত।
এদিকে, ইউক্রেন বা রাশিয়ার জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে নেপালের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। নেপালি নাগরিকদের মৃত্যুর পর এই দুই দেশে আগামী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শ্রমিক ভিসায় যেতে পারবেন না নেপালিরা।