ফুটবল
এখন মাঠে
0

কমেছে নেইমার-অ্যান্তোনি'র বাজারদর

২০২৩ সাল শেষে দলবদলের বাজারে দাম কমেছে নেইমার, সাদিও মানে, অ্যান্তোনি, রাহিম স্টার্লিংদের মতো তারকা ফুটবলারদের। মূলত বেশিরভাগ ফুটবলারের পারফরম্যান্সের নেতিবাচক প্রভাবটাই পড়েছে বাজারদরের ওপর।

২০২৩ সাল খুব একটা ভালো কাটেনি নেইমারের। গেল বছরে পিএসজির হয়ে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এরপর লম্বা সময় মাঠের বাইরে কাটিয়ে দল পাল্টে যোগ দেন আল হিলালে।

সৌদি ক্লাবটির হয়েও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে আবারও ইনজুরিতে পড়েন নাম্বার টেন। যার কারণে আল হিলালের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলেই সন্তষ্ট থাকতে হয় নেইমার জুনিয়রকে।

এভাবে অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরে কাটানোয় নতুন বছরে ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর বাজার দর কমে গেছে এই তারকা ফুটবলারের। ৩০ মিলিয়ন ইউরো দাম কমে তার বাজারদর ঠেকেছে ৪৫ মিলিয়নে। এ মূহুর্তে বিশ্ব ফুটবলে মূল্য হারানো শীর্ষ দশ ফুটবলারের মধ্যে নেইমারের অবস্থান ৬ নম্বরে। একের পর এক চোটে আক্রান্ত হওয়ায় ফেলে আসা বছরটি নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।

নেইমার ছাড়াও বাজারদর কমেছে সেনেগাল তারকা সাদিও মানের। ৪০ মিলিয়ন ইউরো কমে পড়তি তালিকায় তার নাম এখন দুইয়ে। যদিও আল নাসরের হয়ে তার পারফরম্যান্সটা একেবারে মন্দ নয়।

সাদিও মানের সমান বাজারদর কমে তালিকায় আছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্তোনি'র নাম। ৯৫ মিলিয়ন ইউরোতে আয়াক্স থেকে তাকে দলে নিয়েছিলো ম্যানইউ। রেড ডেভিলদের হয়ে ২০টির বেশি ম্যাচ খেলে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট কোনটিই নেই তার। যার কারণে তার দাম কমাটাই স্বাভাবিক।

দাম কমার দিক দিয়ে অ্যান্তোনি, সাদিও মানের পরেই আছেন ইংলিশ ফুটবলার জাডোন সানচো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই উইঙ্গারের মূল্য কমেছে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া বাজার দর কমা ফুটবলারদের মধ্যে শীর্ষ দশে আছেন ম্যাসন মাউন্ট, ক্যানসেলো, রাহিম স্টার্লিংদের মতো তারকারা।