এক সময় মালদ্বীপকে হেসেখেলে হারানো বাংলাদেশ গেল বুধবার (১৩ নভেম্বর) ফিফা প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বসে। কিংস অ্যারেনায় শুরুতে আধিপত্য বিস্তার করেও ফিনিশিং এর ব্যর্থতায় পরাজয় বরণ করে মোরসালিন-রাকিবরা। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
সাবেক ফুটবলাররা মনে করেন, স্ট্রাইকিং জোনের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠা খুব জরুরি। ম্যাচের পরিস্থিতি ও স্ট্রাইকিং জোন বুঝে খেলার অভ্যাস বাড়াতে হবে ফুটবলারদের।
বাংলাদেশে সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, স্ট্রাইকিং জোন আছে একটা। সেই জোনে গিয়ে যদি ফ্যাম্বেল করেন তাহলে সেই শটে তো গোল হবে না। গোলের একটা সময় আছে বলটা ম্যাচিউর হলে বলটা গোল হবে। স্ট্রাইকিং জোন বুঝে খেলার অভ্যাস বাড়াতে হবে। তাদেরকে নিয়ে গ্রুমিং করতে হবে।
বাংলাদেশে সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু বলেন, ‘ফিনিশিংয়ের অভাব। আমি বলবো গত ২০ বছরে ধোঁকা দিয়ে এই দেশবাসিকে বোকায় বানিয়েছে।’
ক্লাবগুলোতে দেশি স্ট্রাইকারের চেয়ে বিদেশি স্ট্রাইকারের সংখ্যা কমিয়ে স্ট্রাইকারদের সুযোগ বাড়াতে হবে। স্ট্রাইকার সমস্যা সমাধানে নতুন সভাপতি থেকে চান যথাযথ দিক নির্দেশনা।
বাংলাদেশে সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘প্রতিটা প্লেয়ার তাদের স্ট্রাইকিং জোনের বাহিরে থেকে প্লেয়ার নিয়ে আসতেছে। এখন যে জায়গায় থেমে গিয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে আমাদের স্ট্রাইকিং জোনের প্লেয়ার যেন বাহিরে থাকে না আসে সেটার জন্য একটা পলিসি করতে হবে। যাতে আমাদের লোকাল ছেলেরা গ্রুমিং হয় এবং সাহসের সাথে স্ট্রাইকিং জোনে খেলতে পারে।’
ফিফা-এএফসির গাইডলাইন মেনে বাংলাদেশের ফুটবল কাঠামোর পুনর্বিন্যাস করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাবেকরা। শনিবার আবারও মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।