একবিংশ শতাব্দীতে ফুটবল মানেই ভূরি ভূরি গোল। আর গোলের খেলা ফুটবলে স্ট্রাইকারদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি হয় ট্রান্সফার মার্কেটে। এই শতাব্দীতে এসেই ফুটবল বিশ্ব দেখেছে খেলোয়াড়দের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
ফুটবলের বৈশ্বিক বাজার ও টিভি সত্ত্ব থেকে ক্লাবগুলো আয় করে বিশাল অংক। টাকার অঙ্কটা ২০৫০ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩৫০ থেকে ৭০৮ মিলিয়ন অবধি।
এই শতাব্দীতে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ট্রান্সফারের তালিকায় সবার উপরে নেইমার জুনিয়র। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে পাড়ি জমানো এই ফুটবলার। যদিও ইনজুরির কারণে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন নেইমার, ব্যর্থ হন পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতেও।
তালিকার দুইয়ে নেইমারের সাবেক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২০১৭ সালে ১৬৬ মিলিয়ন ইউরোতে মোনাকো থেকে পিএসজিতে আসেন সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। অঢেল অর্থ পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। ৩০৮ ম্যাচে ২৫৬ গোল করে ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।
৩ নাম্বারে আছেন জোয়াও ফেলিক্স। ১১৩ মিলিয়নে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দিলেও খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি তিনি। কোচ দিয়েগো সিমিওনের ডিফেন্সিভ ট্যাকটিক্সে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। চেলসি ও বার্সেলোনাতে লোনে খেলতে গেলেও এই মৌসুমে স্ট্রামফোর্ড ব্রিজে থিতু হয়েছেন তিনি।
তালিকার চারে আছেন লিভারপুল থেকে ১০৮ মিলিয়নে বার্সেলোনায় আসা ফিলিপ্পে কুতিনহো। কাতালানদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ট্রান্সফার এটি। ২০১৮ সালে ট্রান্সফারের সময়ও বয়ে বেড়াচ্ছিলেন ইনজুরি। দলে নিয়মিত সুযোগ পেতেও হিমশিম খেতে হয় তাকে। শেষপর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখে কিছুদিন ধারে খেলতে যান যদিও ইনজুরি কাল হয়ে দাঁড়ালে দ্রুতই শেষ হয় তার বার্সা অধ্যায়।
২০১৯ সালে বার্সেলোনার অন্যতম খরুচে সাইনিং ছিল আন্তোনিও গ্রিজম্যান। ১০৭ মিলিয়ন ইউরোতে তাঁকে দলে ভেড়ালেও মাত্র ২ বছর স্থায়ী হয় তাঁর বার্সা ক্যারিয়ার। সব টুর্নামেন্ট মিলে মাত্র ৩৩ গোলে অবদান ছিল তার। ফলে শেষমেশ আবারও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে ফিরতে বাধ্য হন তিনি।
এছাড়া এনজো ফার্নান্দেজের ১০৭ মিলিয়নে চেলসিতে, ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে জ্যাক গ্রিলিশের ম্যানসিটিতে যোগদান এই শতকের অন্যতম দামি ট্রান্সফার।