দেশে এখন
0

বর্ষবরণের আনন্দে শব্দদূষণের বিষাদ

নতুন বছর স্বাগত জানাতে পটকা ফোটানা আর আতশবাজি তরুণদের আনন্দের খোরাক হলেও বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ মানুষের জন্য ছিলো কষ্টের কারণ।

নানা নিষেধাজ্ঞার পরেও থামানো যায়নি বিকট শব্দের উদযাপন।

জাহাঙ্গীর হোসেন ইতিমধ্যে নাম লিখিয়েছেন প্রবীনদের খাতায়। যৌথ পরিবারের খুব সুন্দর কাটছে দিন। ডাক্তারের পরামর্শে নিয়ম করে ঘুমাতে হয় ৮ ঘন্টা। কিন্তু রোববার রাতে মাত্র একঘণ্টা ঘুমের পর বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে তার। আতশবাজিতে আতংকিত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর আর ঘুমাতে পারেনি সে।

খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২৪ কে স্বাগত জানাতে রোববার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় নানা আয়োজন। বাড়ির ছাদ কিংবা উঠান। বন্ধুদের কিংবা পরিবারকে নিয়ে নববর্ষের উৎসবে মাতেন নগরবাসী। নতুন বছর উদযাপনে বরাবরই উৎসাহ উদ্দীপনা বেশি দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। একদিকে অনবরত পটকার শব্দ অন্যদিকে আতসবাজি আর ফানুসে ছেয়ে যায় রাতের আকাশ।

তরুণদের জন্য এই শব্দ আর আলোর ঝলকানি আনন্দ দিলেও প্রবীণ আর শিশুদের জন্য এ যেন ভীতিকর সময়। কেউ কেউ বিকট শব্দে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। আবার অনেক শিশুই আতংকে কাটিয়েছে সারারাত।

এমন বিকট শব্দ শিশু ও প্রবিণদের স্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বসতি থেকে দূরে এসব উৎসব ও শব্দ হয় এমন আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শিশু কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল আহমেদ বলেন, 'শুধুমাত্র বয়স্ক কিংবা শিশু নয় সকলের মনের মধ্যেই এক ধরনের চাপ তৈরি করে। আতশবাজি থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এ ধরণের অনাকাঙ্খিত শব্দ আমাদের মনের জন্য ক্ষতিকর।'

সারাদেশে আতশবাজি আর ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ থাকলেও। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টায় যেন কোন নিষেধই কাজে দেয়নি। এসব বন্ধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে বলছে ভুক্তভোগীরা।

অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় ফানুস উড়াতে গিয়ে কামরাঙ্গীরচরে আগুনে দগ্ধ হয়েছে তিন শিশু। তাদের মধ্যে একজনের ৮৮ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে।