এখন ভোট
0

কক্সবাজারে চিংড়ি সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনের দাবি ভোটারদের

কক্সবাজার

কৃষি ও মৎস্য খাতে সমৃদ্ধ কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়াকে ঘিরে রয়েছে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা।

মাতামুহুরি নদী ও ভোলা খালের অববাহিকায় গড়ে উঠা এই দুই অঞ্চল প্রতিবছর যোগান দেয় বিপুল খাদ্যশস্যের। আছে হাজার কোটি টাকার চিংড়ি খামার।

যদিও খাদ্যশষ্য বা উৎপাদিত চিংড়ি সংরক্ষণে এখানে গড়ে উঠেনি হিমাগার। অবকাঠামোগত উন্নয়নেও পিছিয়ে এই দুই উপজেলা।

মাতামুহুরী নদীতে সময়মতো ড্রেজিং না হওয়ায় পানির অভাবে ব্যাহত হয় দুই তীরের চাষাবাদ। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে ভাঙে তীরভূমি। আবার বর্ষা মৌসুমে এ নদী হয়ে উঠে বন্যার মত অভিশাপের কারণ।

ভোটাররা বলছেন, চিংড়ি ঘের অবৈধ দখল, খাস জমি দখল, নদী থেকে বালু লুটের কারণে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ অঞ্চলের মানুষ। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এ অবস্থার অবসান চান তারা।

এছাড়া যুব সমাজের চাকরির নিশ্চয়তার পাশাপাশি খালগুলো খনন করার দাবি জানান আগামী নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর কাছে। কৃষিক্ষেত্রে লবন পানি যেন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য স্লুইচ গেটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন।

এদিকে ১৮ ইউনিয়নের চকরিয়াকে বিভক্ত করে মাতামুহুরি নামে আরেকটি উপজেলা গঠনের দাবি স্থানীয়দের।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, 'এই জায়গায় যদি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ করা হয় তাহলে মহেশখালী কতুবদিয়া থেকে যোগাযোগ ভালো হবে। কক্সবাজার থেকেও যোগাযোগ ভালো হবে।'

কৃষি ও মৎস্য খাত ঘিরে চকরিয়া-পেকুয়া ঘিরে রয়েছে বাণিজ্য সম্ভাবনা। তাই পরিকল্পিত নদী খনন, পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থানগুলোর উন্নয়নে সংসদে দাবি তোলার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, 'সংসদে কথা বলার আগে এলাকার লোকজনের সাথে প্রতিনিধিদের আলোচনা করা উচিত। এই কাজটি আসলে কোন সংসদ সদস্যই করে না। যে কারণে আমাদের সমস্যাগুলো অন্তরালে রয়ে যায়।'

দেশের অন্যান্য স্থানের মত নির্বাচনের হাওয়া বইছে চকরিয়া, পেকুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-১ সংসদীয় আসনেও। যেখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। ভোটারদের মন জয় করতে চিংড়ি ঘের দখলমুক্ত করা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কাজের সুযোগ সৃষ্টিসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতীক)। তিনি বলেন, 'এই এলাকার সবাই চিংড়ি এবং লবণের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরা এই দুটি দিকেই বেশি নজর দিব।'

নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্যদিয়ে কৃষি ও মৎস্যজীবীদের ভাগ্য বদলের আশা ভোটারদের।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর