প্রতিবারের মতো এবারও নিউজিল্যান্ড সফর বয়ে এনেছে হতাশা। এর আগে বেশ কয়েকবার তাসমান সাগরপাড়ের দেশটিতে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট খেললেও প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। এবারও অধরাই থেকে গেল স্বপ্ন।
নিউজিল্যান্ডের নেলসনে গর্জে উঠার সুযোগ ছিল টাইগারদের। সেখানে সৌম্য সরকারের ব্যাটিং ঝড় দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। যে ঝড়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস আর অনেক রেকর্ড ভেঙেছেন সৌম্য। প্রমাণ করেছেন দলে কেন তাকে প্রয়োজন। তবে সৌম্যের অসাধারণ ইনিংসের পরও সিরিজে নিভু নিভু আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা গেল না বাংলাদেশের জন্য।
১১৬ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি করে দীর্ঘ পাঁচ বছরের শতক খড়া কাটিয়েছেন সৌম্য। তিনি সেঞ্চুরি করলেও মাঠে টিকে থাকতে পারেননি এনামুল, শান্ত, লিটন, তৌহিদ হৃদয়রা। বলার মতো ৪৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য-মুশির জুটিতে ৯১ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে।
যদিও মিরাজকে নিয়ে আরও একটি জুটি গড়েন সৌম্য। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৬১ রান। তবে পরে আর বিশ অঙ্কের ঘর স্পর্শ করা হয়নি কারোরই। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে ২৯১ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন সৌম্য।
যেখানে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গড়া রিয়াদের সর্বোচ্চ ১২৮ রানের ইনিংস আর এশিয়ান ব্যাটার হিসেবে শচীনের সর্বোচ্চ ১৬৩ রানকে পেছনে ফেলেন উদ্বোধনী এ ব্যাটার।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালান উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র। বাংলাদেশের বোলার হাসান মাহমুদ, শরীফুলরা চালায় আক্রমণ। তবে তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
রবীন্দ্রের ৪৫, ইয়ংয়ের ৮৯ আর আগ্রাসী ব্যাটার হেনরি নিকোলসের ৯৫ রানে জয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য বাকি কাজ সারেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম আর টম ব্ল্যান্ডেন।
সাত উইকেট হাতে রেখেই দ্বিতীয় ম্যাচসহ সিরিজ জিতে নেয় কিউইরা।