শীতের আগমনি বার্তার সাথে দেশের ক্রিকেটে বইছে বিপিএলের নতুন আসরের আবহ। মিরপুর শের-ই বাংলায় রাত দিন এক করে চলছে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফল করার আয়োজন।
২০১২ সালে যাত্রা শুরু করা বিপিএল গেল একযুগে মাঠে গড়িয়েছে ১০ বার। তবে এর ১১তম আসরকে ভিন্নমাত্রা দিতে এবার ছায়া হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গড়পড়তা টুর্নামেন্টটিকে বিশ্ব দরবারে আরও আলোকিত করতে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে কাজ করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এরইমধ্যে আসরের তিন ভেন্যুতে সংস্কার কাজ শুরু করেছে এনএসসি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজের প্রাথমিক বাজেট ৩১ কোটি টাকা ধরা হলেও, আবারও বাড়ছে সেটি।
এনএসসি'র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক মাহাবুব মোর্শেদ জানিয়েছেন, তিন স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজারদের চাওয়ায় পাঁচ কোটি টাকা বাড়ানো হচ্ছে সংস্কার কাজের বাজেট। যদিও এনএসসি সচিবের দাবি, বাড়তি বাজেট বহন করবে বিসিবি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এনডিসি সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, 'কিছুটা বাজেট বেড়েছে। সর্বমোট ৩৬ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩১ কোটি টাকা। আর অতিরিক্ত টাকাটা দেবে বিসিবি।'
এদিকে গেল মার্চে মিরপুর স্টেডিয়ামের পূর্ব গ্যালারির জায়ান্ট স্ক্রিনটি ঝড়ে ভেঙ্গে পড়লেও তা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনকি দীর্ঘ নয় মাসে পরিষ্কার করা হয়নি জায়ান্ট স্ক্রিনের ধ্বংসস্তূপ। এ বিষয়ে বোর্ডের গ্রাউন্ডস ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন জানান, বিপিএলের আগেই বসানো হবে নতুন জায়ান্ট স্ক্রিন।
তিনি বলেন, 'আমাদের বাংলাদেশে যতগুলো জায়ান্ট স্ক্রিন আছে সবগুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের লাগানো।'
যদিও এনএসসি'র সচিব জানিয়েছেন, বিপিএলের আগে পাওয়া যাচ্ছে না স্থায়ী স্ক্রিন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, 'যে সময়ে এলসি করে বাইরে থেকে একটা জায়ান্ট স্ক্রিন আসবে ওই সময়টা আসলে পাওয়া যাচ্ছে না। ততদিন ভাড়া করা জায়ান্ট স্ক্রীন দিয়ে কাজ চালানো হবে বিপিএলে। আর এ বরাদ্দের মধ্যে জায়ান্ট স্ক্রীন ধরা আছে।'