জেলার একমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকল, যদিও আখের স্বল্পতা ও ক্রমাগত লোকসানে প্রতিষ্ঠানটির বেহাল দশা। তাই এই এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদ, ফসলের ন্যায্য মূল্য ও সহজে ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা চান ভোটাররা।
কৃষকরা বলেন, মাঠে ফসল উৎপাদন হলেও আমরা ভালো দাম পাচ্ছি না। আবার সার-কীটনাশকের দামও বেশি। এছাড়া জেলায় ফসল সংরক্ষণের ভালো ব্যবস্থাও নেই।
বগুড়া-জয়পুরহাট সড়ক ঘিরে দালানকোঠা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তবে জেলার প্রধান এই সড়ক ব্যবহারে চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। পাঁচ বছর আগে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, জয়পুরহাট সড়কে দিন দিন যানজট বাড়ছে। এতে করে সবারই কষ্ট হচ্ছে। আবার ব্যবসা-বাণিজ্য করতেও অসুবিধা হয়। যানজট নিরসনেপরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
জেলায় এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। তরুণ ভোটারের সংখ্যাও কম নয়। ভোটাররা বলেন, জেলায় শিল্প-কারখানা নেই। এখানে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান হলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনেও ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। ভারত কিংবা অন্য জেলা থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহনের পর খালাসের ক্ষেত্রে ভাল রেলওয়ে ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য আনা-নেয়ায় ভোগান্তি হয়। তাই পার্শ্ববর্তী পুরানাপৈল পরিত্যক্ত রেলস্টেশনকে পণ্য খালাসের ইয়ার্ড স্টেশনে রূপান্তর চান ব্যবসায়ী নেতারা।
জয়পুরহাট চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক আনু বলেন, জেলায় গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হলে বড় বড় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। একইসঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
এদিকে পোল্ট্রি শিল্পেও অনেকটা এগিয়ে এই জেলা। কিন্তু মুরগি ও ডিমের দাম ওঠানামা করায় অনেক সময় লোকসান গুণতে হয় খামারিদের। তাই মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা চান ব্যবসায়ীরা