জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, ইতোমধ্যে প্রাথমিকের ৯৯ শতাংশ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৯৬ শতাংশ এবং ৭ম শ্রেণির ৮৯ শতাংশ বই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে ২০২৪ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে যুক্ত হতে যাওয়া ৮ম শ্রেণির বই মাত্র ৩৮ শতাংশ ও ৯ম শ্রেণির বই মাত্র ২২ শতাংশ মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, এনসিটিবি'র প্রক্রিয়াগত ধীরগতির কারণে শতভাগ বইয়ের কাজ শেষ হতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগবে।
এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘৯ম শ্রেণির বই শতভাগ পৌঁছে যাবে। ৮ম শ্রেণির বই কিছু কম হতে পারে, তবে সব উপজেলায় বই চলে যাবে। সবমিলিয়ে আশা করছি, শতভাগ বই নিয়েই উৎসব হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম বলেন, 'যেকোন মূল্যে বছরের শুরুতে শতভাগ বই শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে না পারলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, '৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। আর ১ জানুয়ারি সারাদেশে বই উৎসব উদযাপন করা হবে।'
২০২৪ শিক্ষাবছরের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭০টি বই প্রস্তুত করা হচ্ছে। যেখানে সরকারের খরচ প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা।