যীশুর জন্মস্থানে উৎসবের নেই কোনো আমেজ, হয়ে আছে পর্যটকশূন্য। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই দায়।
বেথেলহেম শহরে হোটেলের সব অগ্রিম বুকিংও বাতিল হয়ে গেছে। এই ভরা মৌসুমে হোটেলের সব রুম খালি। খরচ চালাতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী তাদের কর্মচারীদের ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। ক্রিসমাসের স্যুভেনির দোকানগুলোও বন্ধ।
এক হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, 'হোটেলের সব রুম ফাঁকা। এমনকি যত অগ্রিম বুকিং ছিল সেগুলোও বাতিল করেছে অনেকে। নতুন বছর সামনে রেখে আমাদের অনেক আশা ছিল। এখন সব আশাই শেষ।
আরেক হোটেল মালিক বলেন, আমাদের ব্যবসা তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের উপর নির্ভর করে। বছরের এই সময়ে বেথেলহেম পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সেরা জায়গা। পর্যটকশূন্য হওয়ায় প্রায় দুই মাস ধরে ব্যবসা নেই।
এক রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে রেস্তোরাঁ খোলা রেখেছি। যাতে অন্তত তাদের বেতনটা দিতে পারি।
প্রায় ২৫ হাজার জনসংখ্যার এই শহরের অর্থনীতি মূলত পর্যটন নির্ভর। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাস তাদের পর্যটন মৌসুম। এখন ভুতুড়ে শহরে রূপ নিয়েছে পুরো বেথেলহেম। শহরজুড়ে যুদ্ধের ছায়া। বিক্রি নেমেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশে।
এদিকে রামাল্লা, পশ্চিম তীর, হেবরন ও জেরুজালেমে ধর্মঘট পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্যিক দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি ওষুধের দোকানও বন্ধ রাখে তারা। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয় ব্যবসায়ীরা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, 'গাজার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হেব্রনের বাসিন্দারা এই ধর্মঘট করছে। আরব বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহলকে সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।'
রামাল্লাসহ বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া, পশ্চিম তীরের ইহুদি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাঁটাই হয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
অক্টোবর মাস থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় ৮০ শতাংশ কমে গেছে যা প্রায় ১৫০ কোটি ডলার। বাজেটের প্রায় ৩০ শতাংশ বিদেশি সহায়তা নির্ভর যা এবার কমে মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে।





