শীতে উত্তরের মানুষের প্রথম পছন্দ লেপ। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কম্বলের চাহিদাও। দেশের অন্য প্রান্তের তুলনায় এ অঞ্চলে শীত সামাল দেয়ার প্রস্তুতিও থাকে বেশি। পুরো বিভাগের কম্বলের চাহিদার যোগান দেয় সৈয়দপুর। কেউ পাইকারি, কেউ খুচরা, কেউবা দুই ধরনের ক্রেতাকেই মূল্যায়ন করে।
শুধু স্থানীয়রাই নয়, কম্বল কিনতে আসেন অন্য জেলার ব্যবসায়ীরাও। দামে কম, মানে ভালো, সেই সঙ্গে সহজ যাতায়াতে ব্যবসায়ীদের প্রথম পছন্দ সৈয়দপুর।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে সর্বনিম্ন দামের মধ্যে কম্বল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দামের কম্বল সাত থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপজেলায় যেসব অনুদানগুলো দেয়া হয়, এখান থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:
পাইকারিতে কম্বলের দাম শুরু হয় ৬৫ টাকা থেকে। এরপর মান ও আকারভেদে বাড়ে দাম। শীতার্তদের সহায়তায় জন্য যারা কম্বল সংগ্রহ করেন, তারা সৈয়দপুর থেকেই কেনেন।
বিক্রেতারা জানান, রংপুর থেকেও তাদের ক্রেতা আসেন কম্বল কিনতে। এখানে দাম কম থাকায় ক্রেতারা বেশি আসেন।
শীতের যেকোনো পোশাক বিক্রির গতি নির্ধারিত হয় আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। মৌসুমে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার কেনাবেচার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর আলম বলেন, ‘এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য যাতায়াত সুবিধা রয়েছে। তারা মুনাফা কম রেখে পণ্য বেচাকেনা করে ফলে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পান।’
সৈয়দপুরে খুচরা পাইকারি মিলিয়ে প্রায় ১০০ দোকান রয়েছে কম্বলের।





