আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে বিজিএমইএ ভবনে মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
পোশাক শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় হলেও বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার মাত্র আট শতাংশ। এই খাতে বাংলাদেশের শেয়ার বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকরা। যদিও বৈশ্বিক মন্দায় বিশ্বে মূল্যম্ফীতির কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দেয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রপ্তানি আয়ের শীর্ষ এই খাত।
চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিজিএমইএ’র মতবিনিময় সভায় উঠে আসে পোশাক শিল্পের সংকট, কাস্টম হাউসের হয়রানিসহ নানা প্রসঙ্গ।
সভায় বিজিএমইএ নেতারা বলেন, অর্থনৈতিক যুদ্ধ চলছে, সংকটে আছে পোশাক শিল্প। নিবার্চনী অনিশ্চয়তাকে কেন্দ্র করে নানা ইস্যুতে ইউরোপ-আমেরিকা যদি স্যাংশন দেয় তাহলে তৈরি পোশাকের সব ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে যাবে।
আগামী ছয় মাস খুব কঠিন সময় উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সবাই মিলে এই সংকট পার হতে হবে।
সভায় বন্ডের আওতায় কাঁচামাল আমদানিতে এইচএস কোড জটিলতা, কাপড়ের ওজন পরিমাপ, কেমিক্যাল টেস্ট নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের হয়রানির চিত্র তুলে ধরে সংকট নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের আহবান জানান সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আখতার হোসেন।
এনবিআরকে বার বার বলার পরেও সংকটের সুরাহা না হওয়ায় প্রয়োজনে সুনিদির্ষ্ট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর আহবান পোশাক শিল্প মালিকদের। বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর ইচ্ছেমত চার্জ আদায় নিয়েও অভিযোগ করেন পোশাক কারাখানার মালিকরা।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘এনবিআর যদি আমাদের সমস্যা সমাধান না করে, বাড়িয়ে দেয়, তাহলেতো আমরা এই সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারবো না’।
ওয়েভার জটিলতায় বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলো লোকসানে পড়ায় অনেকে সার্ভিস গুটিয়ে নিচ্ছে উল্লেখ করে দেশিয় জাহাজ সুরক্ষা আইনের ধারা সংশোধনের আহবান জানান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।