রাজশাহীতে প্রার্থীদের অধিকাংশ ব্যবসায়ী, কর্মসংস্থানের দাবি

0

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী। কৃষিভিত্তিক এ অঞ্চলে বিগত সময়ের উন্নয়নের পর এখন জনগণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা করছেন।

গ্রাম-শহর মিলিয়ে এ অঞ্চলের ১ হাজার ৯১৪টি এলাকায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। অথচ বিগত সময়ে কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক ছাড়া শ্রমঘন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

জেলার প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, ‘আমরা চাষি মানুষ, কাজ করে খাই। যদি সার-বীজ কমদামে পাই, তাহলে চাষাবাদ করে চলতে পারবো।’

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এদিকে রাজশাহীবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণের আশ্বাস দিচ্ছেন সম্ভাব্য জনপ্রতিনিধিরা। তবে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন, জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক আহম্মেদ শফি উদ্দিন বলেন, ‘এ অঞ্চলে যে খাদ্য ভান্ডার রয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়েই কর্মসংস্থান তৈরি সম্ভব ছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি।’

উন্নয়ন বিশ্লেষক সুব্রত কুমার পাল বলেন, রাজশাহীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের তরুণ সমাজ এ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা করছেন।

রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিঙ্কু বলেন, ‘এনবিআর থেকে শুরু করে বাণিজ্য, কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি।’

তিনি আরও জানান, কর্মসংস্থান তৈরিতে এখনও পিছিয়ে আছে রাজশাহী। এক্ষেত্রে কৃষি সম্পদকে ব্যবহার করে শিল্প-কারখানা স্থাপনে জনপ্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহীর ১৩টি প্রধান ফসলের উৎপাদন প্রতি বছর বাড়ছে। যার বাজারমূল্য ১৩ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আম, পান ও সবজিসহ বিভিন্ন রকমের ফল রপ্তানি হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যপাক ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেশ-বিদেশে রাজশাহীর এসব কৃষি পণ্যের প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার আছে। যা স্থানীয় কর্মচাহিদা বদলে দিতে পারে।