দেশে এখন
স্বাস্থ্য
0

ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় সচেতনতা জরুরি

শাহনুর শাকিব

আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভকালে বা জন্মের পরপরই নবজাতকের ডাউন সিনড্রোম চিহ্নিত করা যায়।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সিজারিয়ানে ডাউন সিনড্রোম শিশুর জন্ম হয়েছে। বছরব্যাপী কয়েক দফা শিশু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হলেও ডাউন সিন্ড্রোম ধরতে পারেনি কেউ। সন্তান জন্মের দিনে চিকিৎসক ডাউন সিনড্রোমের সন্দেহ করতে পারলেও পরিস্থিতি আরও কিছুটা ভালো হতো বলে মনে করেন শিশুটির মা।

গবেষণা বলছে, ১৮ বছরের আগে ও ৪০ বছরের পরে মায়ের গর্ভে আসা সন্তানদের মধ্যে ডাউন সিন্ড্রোমের আশঙ্কা বেশি থাকে। সমস্যা সমাধানে ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যেই সন্তান গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাথমিক পর্যায়ে ডাউন সিন্ড্রোম নিশ্চিত করতে গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞদের আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে মনে করেন শিশু নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. আশরাফুল ইসলাম।

ডাউন সিনড্রোম একটি বংশগত রোগ, ক্রোমোজোমের বিশেষ ত্রুটি থাকায় একটি শিশু ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মায়। মাংসপেশীর শিথিলতা, কম বুদ্ধি ও শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে জীবন পার করতে হয় এসব শিশুর। তবে জন্মের সাথে সাথে কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা করা হলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা কমানো সম্ভব। দ্রুত সনাক্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের অনেকটাই স্বাভাবিক জীবন দেয়া সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ডাউন সিনড্রোম নিয়েও সম্পূর্ণ সুস্থ জন্ম দিয়েছে ২৯ বছর বয়সী প্রজ্ঞা পারমিতা। নার্সিং অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে সরকারি চাকরি করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে। জীবনের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে সংসার ও অফিস সামলাচ্ছে পারমিতা।

প্রতি ১ হাজার জনে অন্তত ১ জন শিশু ডাউন সিন্ড্রোম নিয়ে জন্ম নেয়। যথাসময়ে রোগ নির্ণয় করতে না পারায় এদের অধিকাংশকে চরম শারীরিক ও মানসিক জটিলতা নিয়ে দিন পারতে করতে হয়। তবে আশার খবর হলো গর্ভাবস্থায় আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বের করা যায় নবজাতক ডাউন সিন্ড্রোম নিয়ে পৃথিবীতে আসবে কি না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে পরিবার, এমনটি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসএস

আরও পড়ুন: