বেড়েছে বাজেট বরাদ্দও। নির্বাচন কমিশনের কাছে এক হাজার ৭০ টাকা চেয়েছে বাহিনীগুলো। বিপরীতে অর্থমন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী বরাদ্দ দিয়েছে ইসি।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে ইসির বৈঠক হয়।
ভোটের আগে ও পরে এবং ভোটের দিন এই তিনভাগে নির্বাচনের মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা। সবশেষ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোতায়েন ছিল মোট ৬ লাখ ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৬৫ কোটি টাকা। আগামী নির্বাচনে বাজেট এবং বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দুটোই বাড়ছে।
প্রায় দেড় লাখের মত বেড়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৭ জন। এরমধ্যে শুধু আনসারই ৫ লাখ ১৬ হাজার। আর পুলিশ এবং র্যাব মিলে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন।
ইসি সূত্র বলছে, এবার নির্বাচনের জন্য মোট ১ হাজার ৬৯ কোটি টাকা চেয়েছে বাহিনীগুলো। এরমধ্যে পুলিশ চেয়েছে ৪৩০ কোটি, আনসার ৩৬৬ কোটি , র্যাব ৫০ কোটি, বিজিবি ১৪৫ কোটি এবং কোস্টগার্ড চেয়েছে ৭৮ কোটি টাকা।
বৈঠক সূত্র বলছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুসরণ করে র্যাংক অনুযায়ী প্রত্যেক বাহিনীর সদস্যদের দৈনিক ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ এবং র্যাবের জন্য বরাদ্দ গড়ে দৈনিক ৫১৪ টাকা। বিজিবি সর্বনিন্ম ৪০০ এবং সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা। কোস্টগার্ড সর্বনিম্ন ৬৩৭ এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ টাকা। আর আনসারের দৈনিক খোরাকি ভাতা সর্বনিম্ন ১ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০৫০ টাকা।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, ভোটের মাঠে মোট ছয় দিন মোতায়েন থাকবে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি কিংবা কোস্টগার্ড কতদিন মোতায়েন থাকবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।





