অর্থনীতি
দেশে এখন
0

জ্বালানি আমদানিতে ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে: সিপিডি

শাহনুর শাকিব
ঢাকা

এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জ ৩৫ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যখন জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ধাক্কা লাগে সে হাওয়ার পালে বাংলাদেশও। এতে উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয় জ্বালানি, সঙ্গে ডলার সংকটে তৈরি হয় এলসি জটিলতা।

দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় গ্যাসের মাধ্যমে। এরপরেই রয়েছে তেল ও কয়লার ব্যবহার। জ্বালানির বড় এলএনজি যেহেতু আমদানি করতে হয়, তাই দিনকে দিন সে চাপ গিয়ে পড়ছে ডলারে।

বৃহস্পতিবার গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের জ্বালানি খাত নিয়ে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি। গবেষণা সংস্থাটি দাবি, ডলারের সংকটের বড় দায় জ্বালানি আমদানিতে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ও আগেরগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে আরো সচল করতে হবে।

সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, 'বিকল্প জ্বালানি বের করতে না পারলে ডলারের ক্ষয় কমানো সম্ভব না। বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার না করলে ডলার সংকট বাড়তে থাকবে। স্বল্পমেয়াদী ঋণ করে অল্প কয়েক মাসের সংস্থান মেটানো সম্ভব। কিন্তু সংকটটি দীর্ঘ হয়ে যাবে।'

সিপিডি তার গবেষণায় জানায়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে (আইপিপি) ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকারকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গুনতে হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তির ক্ষেত্রে 'ক্যাপাসিটি চার্জ' থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

২০৪১ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৪০ শতাংশ নির্ভর করতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু গত তিনমাসে তার বাস্তবায়ন কম দেখা যাচ্ছে। বিপরীতে বেড়েছে কয়লার ব্যবহার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কয়লা ব্যবহার হয়েছে সেপ্টেম্বরে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগী হতে তাগিদ দেয় সংস্থাটি।

সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান,  'জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কয়লাজনিত ব্যয় কমানোর কথা বরলেও আমাদের এ ব্যায় বাড়ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ছাড়া দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির খাতে বিনিয়োগ করে সঠিকভাবে ফল পাওয়া সম্ভব না।'

সর্বমোট ১৩টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়েছে মাত্র ৪টি। তাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেয় সিপিডি।

 

এসএস

আরও পড়ুন:

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর