পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলমান হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গাজায় হতাহতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হাসপাতাল, ধর্মীয় উপাসনালয়, স্কুল ও শরণার্থী শিবিরে গাজাবাসী আশ্রয় নিলেও সেখানেও অনবরত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। দখলকৃত পশ্চিমতীরেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি পুলিশ। সবমিলিয়ে ভেঙে পড়েছে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধের আগে ফিলিস্তিনের অর্থনীতির আকার ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। এক মাসের মাথায় জিডিপি কমেছে ৪ শতাংশ। ধ্বংস হয়েছে গাজার অর্ধেকের বেশি ভবন। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিমতীরের অধিকাংশ জলপাই বাগান। কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। দারিদ্র্যসীমায় পৌঁছেছে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ। এখন পর্যন্ত গাজায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘের আশঙ্কা, চলতি মাসে যুদ্ধ না থামলে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ কমবে মোট দেশজ উৎপাদন। দারিদ্র্যের হার ছাড়িয়ে যাবে ৩৪ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতি পৌঁছাবে ১৭০ কোটি ডলারে। অন্যদিকে তৃতীয় মাসে যুদ্ধ গড়ালে বেকার হবেন আরও ৭ লাখ ফিলিস্তিনি। জিডিপি কমবে ১২ শতাংশ। এতে আর্থিক ক্ষতি ছাড়াবে ২৫০ কোটি ডলার।
তিন মাসে ১২ শতাংশ জিডিপি কমে যাওয়া ফিলিস্তিনের জন্য বড় ক্ষতি হিসেবে দেখছে ইউএনডিপি। সংস্থাটি জানায়, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর সময় প্রতি মাসে দেশটির জিডিপি কমেছে ১ শতাংশ। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রতিমাসে গড়ে ইউক্রেনের জিডিপি কমেছে ১.৬ শতাংশ। যুদ্ধ না থামলে ফিলিস্তিন ১৯ বছর পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।





