কোথাও কোমর সমান, কোথাও আবার হাঁটুর উপরে উঠেছে পানি। টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা, বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ। এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার আমন চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
কৃষকরা জানান, আমন ধানের মৌসুম হওয়ায় চলতি মাসের শুরুতেই বিপুল টাকা খরচ করে বীজতলা প্রস্তুত করেন তারা। কেউ কেউ আবার রোপণ করেন চারা। তবে হঠাৎ জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে চারা ও বীজতলা।
একজন ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, 'পানির জন্য আমরা ধান লাগাতে পারছি না, সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে, এভাবে ক্ষতি হলে আমরা কী করবো। আশেপাশে যে খালগুলো আছে, সেগুলো খনন করলে পানিগুলো নেমে যেতো।'
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার চাল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে বলে আশ্বাস কৃষি কর্মকর্তাদের।
চাঁদপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, 'যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা তাদের একটি তালিকা করবো। তারা যেন প্রণোদনার আওতায় আসতে পারে সে ব্যাপারে আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় চিঠি প্রেরণ করবো।'
চলতি মৌসুমে চাঁদপুরে মোট ২৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমি রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।